যেভাবে বড় পর্দায় তারকাদের বয়স কমিয়ে আনছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি
রূক্ষ-ধূসর চুল, চেহারায় বয়সের ছাপ, কপালে হালকা ভাঁজ… ৮০ বছর বয়সী মার্কিন অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডকে হয়তো তার এই চেহারা নিয়ে ইন্ডিয়ানা জোনস সিনেমায় সেই বিখ্যাত ফেডোরা স্টাইলের হ্যাট পরে, প্রধান হিরোর চরিত্রে মানিয়ে নিতে কষ্টই করতে হতো! আর সিনেমায় বুড়িয়ে যাওয়া নায়ককে দুর্ধর্ষ অ্যাকশন দৃশ্যে দেখাটাও যে দর্শকদের জন্য সুখকর নয়, সেটিও অভিনেতা-নির্মাতাসহ সবারই জানা। কিন্তু মুক্তির অপেক্ষায় থাকা 'ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি' চলচ্চিত্রের ট্রেইলারে হ্যারিসন ফোর্ডকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তারও বয়স হয়েছে। বরং আগের মতোই ঝলমলে চেহারায়, চিরচেনা লুকে ফিরে এসেছেন সবার প্রিয় 'ইন্ডি'।
সিবিএস এর দ্য লেট শো উইথ স্টিফেন কোলবার্ট-এ এসে হ্যারিসন ফোর্ড বলেন, "এখন যা দেখছেন এটাই এই বয়সে আমার সত্যিকার চেহারা। তাদের একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রোগ্রাম রয়েছে, যেটি কিনা লুকাসফিল্ম এর প্রতিটি চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে পারে। আমার আসল চেহারা তো দেখতেই পাচ্ছেন, এরপর আমি আমি নিজের ছবিতে চেহারায় ছোট ছোট বিন্দু দিয়ে চিহ্নিত করে দেই যে কোন জায়গায় কি পরিবর্তন আনতে হবে। ব্যস! তারা সে অনুযায়ী কাজ করে দেয়। এটা খুবই চমৎকার!"
চিরযৌবন ধরে রাখার উপায় পেয়ে গেছেন বলে ঠাট্টা করে অভিনেতা আরও বলেন, "আজকাল আমি আয়নার দিকে তাকালে তো সেটাই দেখতে পাই।"
তবে হ্যারিসন ফোর্ড একাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ডিজিটাল ফেসলিফট নিয়েছেন এমনটা নয়। রবার্ট জেমেকিসের নতুন সিনেমা 'হিয়ার'-এ টম হ্যাংকস, রবিন রাইটসহ আরও যেসব অভিনেতাদের নিজেদের বয়সের চেয়ে তরুণ দেখানো প্রয়োজন, তারাও এই একই প্রযুক্তির সুবিধা নিয়েছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি মেটাফিজিকস জানিয়েছে, এই বিশেষ টুলটি শীর্ষ সারির অভিনেতাদের পারফরম্যান্সের ওপর সরাসরি 'হাই-রেজোলিউশন ফটোরিয়েলিস্টিক ফেসসোয়াপ এবং ডি-এজিং (বয়স কম দেখানো) ইফেক্ট তৈরি করতে পারে'। তারা এমনভাবে অভিনেতাদের বয়স কমিয়ে দেয় যে পরবর্তীতে আর ভিএফএক্স এর দরকার পড়ে না।
মেটাফিজিক্সের ওয়েবসাইতে দাবি করা হয়েছে- "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে বাস্তবের মতো দেখতে কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরাই বিশ্বসেরা। আপনিও চাইলে এআই ব্যবহার করে নিজের হাইপাররিয়াল (অতিবাস্তব) অবতার তৈরি করতে পারেন।" হলিউড রিপোর্টার সূত্রে জানা গেছে, কাজের উপযোগী এআই টুলস ও পরিষেবা বিকাশের লক্ষ্যে সম্প্রতি ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টস এজেন্সির সাথে একটি চুক্তিতে এসেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি সাংবাদিকতা, স্কুল-কলেজে প্রবন্ধ লেখার স্বকীয়তাকে হুমকির মুখে ফেললেও, এআই ডিজিটাল ডি-এজিং পদ্ধতি করেছে তার উল্টো। একসময় যেখানে কাউকে তরুণ লুক দিতে চাইলে অত্যন্ত দক্ষ শিল্পী এবং মাসের পর মাস সময়ের প্রয়োজন হতো, এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির কারণে তা মানুষ নিজের বেডরুমে বসেই করতে পারে। কিন্তু প্রযুক্তি আরও উন্নত হওয়ার সাথে সাথে এই আশঙ্কাও রয়েছে যে, অনেকেই 'ডিপফেইক প্রযুক্তি'র (ডিজিটালি চেহারা/শরীর পাল্টে দেওয়া) সুবিধা নিয়ে এটিকে অপকর্মের হাতিয়ার বানাতে পারেন।
জার্মান বংশোদ্ভূত ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস সুপারভাইজার অলকান টান বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করছেন। তার ভাষ্যে, "আমরা একটা বড় ধরনের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এটা যেন অনেকটা পারমাণবিক শক্তি আবিষ্কারের মতোই ব্যাপার! কিন্তু বিষয়টিকে এখনো অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বা এড়িয়েও যাওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে এটা দেখলে মনে হয়, "ওহ, এটা তো একটা খেলনা, দেখতে দারুণ, দেখুন এটা দিয়ে আমি কি কি করতে পারি!"… কিন্তু এটা আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তনের শুরু কেবল; কারণ এটা এমন সব কাজ করবে যা সাধারণ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়।"
ডি-এজিং প্রযুক্তি ব্যবহারে এখন পর্যন্ত মিশ্র ফলাফল পাওয়া গেছে। 'দ্য কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন' সিনেমায় ব্র্যাড পিট, 'পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: ডেড মেন টেল নো টেলস'-এ জনি ডেপ, ট্রন: লিগ্যাসি'তে জেফ ব্রিজেস, 'ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার'-এ রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, 'অ্যান্ট ম্যান'-এ মাইকেল ডগলাস, 'গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি ভলিউম টু'-তে কার্ট রাসেল, 'জেমিনি ম্যান' চলচ্চিত্রে উইল স্মিথ এবং স্টার ওয়ারসের বিভিন্ন পর্বে ক্যারি ফিশার ও মার্ক হামিলের মতো খ্যাতনামা তারকাদের ওপর এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে ২০১৯ সালে 'ক্যাপ্টেন মার্ভেল' চলচ্চিত্রে স্যামুয়েল এল. জ্যাকসনের ওপর এই ডি-এজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে চমকপ্রদ ফলাফল পাওয়া গিয়েছিল। এ সিনেমায় স্যামুয়েলের বয়স প্রায় ২৫ বছর কমিয়ে আনা হয়েছিল এবং তিনি পুরো সিনেমায়ই ওই অবতারে হাজির হয়েছিলেন। র্যাপ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ডিজিটালি ডি-এজিং করার আগে শিল্পীরা স্যামুয়েলের নব্বইয়ের দশকের চেহারার সাথে তুলনা করে দেখেছিলেন তাকে সঠিক রূপ দেওয়ার জন্য।
কিন্তু কেন বয়স্ক তারকাদেরই তরুণ দেখিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে হবে? কারণ হ্যারিসন ফোর্ডের মতো তারকাদের যে আবেদন দর্শকের কাছে রয়েছে, তা অন্য কারো ক্ষেত্রে নেই। কারও কারও ভাষ্যে, ইন্ডিয়ানা জোনসে ফোর্ডের যে অনবদ্য ভূমিকা, সে জায়গায় ভিন্ন অভিনেতাকে নিয়ে আসার চেয়ে 'বয়স কমিয়ে আনা' হ্যারিসন ফোর্ডকে রাখাই বেশি ভালো।
রাজনৈতিক অধিকারকর্মী ড্রেক্সেল হার্ডের হলিউডে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মনে করেন, "আমরা একটা বিষয় বুঝেছি যে দর্শকরা চান তাদের অতি পরিচিত অভিনেতাই বারবার সিনেমায় থাকুক, যাতে করে ওই আবেদন থেকে তারা বিচ্ছিন্ন না হয়ে যান। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক এভাবেই চিন্তা করবে যে- এটা তো সেই আগের অভিনেতা না, নতুন অভিনেতাটা কে? তিনি কি আগেরজনের চেয়ে এই চরিত্রে ভালো অভিনয় করতে পারবেন? দর্শক হিসেবে কেউই চায় না সেই মজাটা নষ্ট হোক।"
তবে সবাই যে এভাবেই চিন্তা করেন এমনটা নয়। 'শেপশিফটার' নামের একটি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) অ্যাসিস্টেড টুল ব্যবহার করেন টান। তার ভাষ্যে, "বুড়োদের সরিয়ে দিয়ে এখন নতুনদের জায়গা করে দেওয়া উচিত। এটা খুবই বিরক্তিকর। আশি বছর বয়সী কেউ এখনো ত্রিশ বছর বয়সী সাজতে চাওয়ার কোনো মানে নেই। এটা অনেকটা রিসাইক্লিং এর মতো ব্যাপার হয়ে গেছে!"
তিনি আরও যোগ করেন, "এটা যেন একই মিকি মাউস দিয়ে বছরের পর বছর চালানোর মতো, যে মিকি মাউসের কিনা কোনো খাবার-পানি লাগেনা, ঘুম লাগে না। এভাবেই এক জিনিস থেকে তারা টাকা আয় করছে। দশ কপি চাই বা ত্রিশ কপি, এই প্রযুক্তি সবই দিতে পারবে। অভিনেতারা এখন ব্র্যান্ডের মতোই হয়ে গেছেন।
আশি বছর বয়সী হ্যারিসন ফোর্ডকেই কেন আবার ইন্ডি হতে হবে? তার জায়গায় নতুন কাউকে নেওয়া যেত এই সিনেমায়। কেন একই জিনিস আমরা রিসাইকেল করে চলেছি? যেন আমরা অতীতেই আটকে রয়েছি, ভবিষ্যতের কথা ভাবতে চাইছি না", বলেন অলকান টান।
মার্টিন স্করসেজির ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'দ্য আইরিশম্যান'-এ ৭৯ বছর বয়সী অ্যাল-পাচিনোর বয়স কমিয়ে কয়েক দশক আগের লুক দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। রবার্ট ডি নিরো এবং জো পেসি, দুজনের বয়সই ছিল তখন ৭৬ বছর। কিন্তু সিনেমায় তারা তেমন 'প্রাণবন্ত' ছিলেন না বিধায় এই কৌশল কাজে দেয়নি। তার ওপর অভিনেতাদের শারীরিক ফিটনেসের ঘাটতি সহজেই চোখে পড়ায় ডিজিটাল কৌশলটি ব্যর্থ হয়েছে।
এমি অ্যাওয়ার্ডজয়ী ভিজুয়াল ইফেক্ট শিল্পী জো পাভলো এ সম্পর্কে বলেন, "স্করসেজির উচিত ছিল আমার কাছে আসা, তাহলে আমি শুরুতেই বলে দিতাম যে রবার্ট ডি নিরো এবং জো পেসির ক্ষেত্রে আপনি এই ডিজিটাল ডি-এজিং কাজে লাগাতে পারবেন না; কারণ তারা খুব বেশি বিখ্যাত, সবাই তাদের চেনে। আপনার যদি এই কৌশল কাজে লাগাতেই হয়, তাহলে অপরিচিত কোনো অভিনেতাকে এনে তাদের বুড়ো বানান, নাহলে তরুণ কাউকে এনে বুড়ো বানান।"
"কারণ নিরোর চলাফেরায়ই বুঝা যায় তিনি সত্তরের কোঠায়। একজন বৃদ্ধ মানুষ তো তরুণদের মতো চলাফেরা করতে পারবেন না। তাদের হাঁটা এক হবে না, অঙ্গভঙ্গি এক হবে না। তখন এটা স্রেফ সিনেমা নির্মাণের একটা সরঞ্জাম হয়ে যায়। আর সিনেমা নির্মাণের সরঞ্জামকে হয় খুব শৈল্পিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কারও হাতে দিয়ে কাজে লাগাতে হবে, আর নাহয় আনাড়ি হাতে স্রেফ চটকদার কিছু হিসেবে ব্যবহার করতে হবে", বলেন জো পাভলো।
পাভলো জানান, তিনি একঘেয়ে ও জাগতিক নানা কাজে এআই ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, "প্রযুক্তি দিন দিন শুধু উন্নত হচ্ছে। এর মাধ্যমে হয়তো একেবারে নিখুঁত কাজ হয় না, কিন্তু প্রতিবারই আমি বুঝতে পারি যে শেষবার যেমন দেখেছিলাম, তার চেয়ে বেশ উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু ডিপফেইকের ছড়াছড়ির কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে কিনা, সে আশঙ্কা ব্যক্ত করলে পাভলো জানান, এআই সফটওয়্যার খুবই দক্ষতার সাথে ডিপফেইকও চিহ্নিত করতে পারে। "এআই হচ্ছে একই সাথে রোগ এবং প্রতিকার', বলেন পাভলো।
অলকান টান বলেন, "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে শুরুর দিকে বেশ মজার এবং কুল মনে হয়, কিন্তু একটা সময় পরে গিয়ে বুঝতে পারবেন যে এটা বিপজ্জনক। এটা মানুষকে অনুকরণ করতে পারে এবং মানুষকে দিয়ে স্ক্রিনে অনেককিছু করিয়ে নেয়। পরে আপনার মনে হতে পারে যে এই লোক তো খুবই লজ্জাজনক কাজ করেছে স্ক্রিনে… কিন্তু সত্যিটা হলো, পর্দায় ওই ব্যক্তি আসলে ছিলেনই না, এটা স্রেফ প্রযুক্তির কারসাজি।"
টান জানান, এ ধরনের একটি ছলচাতুরি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে হয়েছে। একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন- তারা আত্মসমর্পণ করছেন এবং সৈন্যদের অস্ত্র নামিয়ে রাখতে দেখা যায়। কিন্তু আসলে তা করা হয়েছিল এআইয়ের মাধ্যমে। এটা বাস্তব কিছু ছিল না। একটা সামান্য টুলও যে হঠাৎ কত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে তা এখন বোঝা যাবে, কারণ এটি আমাদের বাস্তবতায় আঘাত হানছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই এ প্রযুক্তি বিপর্যয়ের সৃষ্টি করছে এবং সরকারি নিয়ন্ত্রকরা এটি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভিজুয়াল ইফেক্ট ইন্ডাস্ট্রির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এক ইমেইলে লিখেছেন- "যাদের উদ্দেশ্য ভাল, এমন লোকেদের হাতে এ প্রযুক্তির অপব্যবহার হয় না। কারণ মেকআপ বা কম্পিউটার গ্রাফিক্সের পাশাপাশি এটা অনেক বছর ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে, এবং এটা গল্প বলার ক্ষেত্রে সত্যিই কার্যকরী হতে পারে।
কিন্তু এটা যখন অসতর্ক বা নীতিহীন কারও হাতে গিয়ে পড়ে, এবং কীভাবে এটি নিয়ে কাজ করতে হবে তার কঠোর নিয়মকানুন থাকে না সমাজে, তখনই সমস্যাটা হয়। একসময় শুধু দক্ষতা না থাকার প্রতিবন্ধকতা কাটাতে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হলেও, এখন যে কেউ যে কাউকে দিয়ে কিছু বলিয়ে বা করিয়ে নিতে পারে এর মাধ্যমে।"
ওই সূত্র আরও লিখেছেন, "আপনারা ইতোমধ্যেই দেখেছেন যে ডিপফেইকের মাধ্যমে তারকাদের পর্নোগ্রাফি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গড়পড়তা মানুষের বুঝতে অনেক সময় লাগে যে প্রযুক্তি দিয়ে বানানো এই জিনিসটা নকল। সে কারণেই আজকাল অনেক বেশি ভুল ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশিত হয়। আমরা যা দেখছি এবং শুনছি, সেটিও যদি বিশ্বাস করতে না পারি তাহলে আমরা টিকে থাকব কীভাবে? কীভাবে বুঝব যে অমুক তারকা কয়েক বছর আগে বাজে কোনো কাজ করেননি, ওটা শুধু সেলফোনে বানানো দুর্বল একটা ভিডিও ছিল? আর বিপরীতে, কীভাবে আমরা আসল অপরাধীকে দায়ী করবো যখন সে চাইলেই দাবি করতে পারে যে এই সবই নকল?"