শেয়ারবাজার কারসাজি কমাতে অন্য দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বিএসইসি
শেয়ারবাজারে কারসাজি কমাতে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো কারসাজি কমাতে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে; তা বিদেশিদের থেকে জানবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিএসইসি বলছে, বর্তমানে নানা উপায়ে কারসাজির চেষ্টা করছে একটি চক্র। তবে শেয়ারবাজার পুরোপুরি অটোমেশন হলে এটি আরও কমে আসবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
সোমবার বিএসইসি ভবনে ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন্স (আইওএসসিও) এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তারা এসব মনোভাব প্রকাশ করেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, মাহবুব আলম, নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুর রহমান বলেন, কারসাজিকারীরা থেমে নেই। নতুন নতুন উপায়ে কারসাজির চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিএসইসি এটা নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে।
কারসাজি চক্র ধরতে বিএসইসিতে অটোমেশন করা হচ্ছে। যাতে কারসাজি শুরুতে চিহ্নিত করা যায়, যাতে এ কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে তাদের শাস্তি দেওয়া যায়।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শেয়ারবাজারের স্বাস্থ্য ভালো হলে ফ্লোর প্রাইজ তুলে দেওয়া হবে।
আরও বলেন, ফ্লোর প্রাইজের কারণে বর্তমানে লেনদেন কম হচ্ছে। তবে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার কারণে ফ্লোর প্রাইজের ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেনি বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, এপিআরসির সভায় পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা, আইন এবং অন্যান্য দেশের কারসাজি চক্রের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশ সেখান থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেবে।
গত দুই বছরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও জরিমানা করা হয়েছে তা অন্যান্য বাজারের চেয়ে অনেক বেশি বলে দাবি করেন তিনি।