বুধবার থেকে আরও ১৩ কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং পরিষেবা চালু
বুধবার (১ মার্চ) থেকে ঢাকার আরও ১৩টি কোম্পানির ৯৪৭টি বাসে ই-টিকেটিং পরিষেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, "আমরা কার্যকরভাবে পরিষেবা উন্নত করতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সড়কে অনিয়ম পর্যবেক্ষণের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ১০ জন চেকার নিয়োগ করা হয়েছে।"
বর্তমানে ঢাকায় ৫৯টি কোম্পানির প্রায় ৩ হাজার ৩০৭টি বাস ই-টিকেটিং সেবার অধীনে চলছে বলে জানান তিনি।
আগামীকাল থেকে আকাশ এন্টারপ্রাইজ (সদরঘাট-ধউর), ভিক্টর ক্লাসিক বাস মালিক সমিতি (সদরঘাট-ধউর), ৬নং মতিঝিল-বনানী ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী (প্রাঃ) লিঃ (কমলাপুর-নতুনবাজার), গ্রীন অনাবিল পরিবহন লিঃ (সাইনবোর্ড-গাজীপুর), গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট কোং লিঃ (যাত্রাবাড়ী-টঙ্গী ষ্টেশন রোড), অনাবিল সুপার লিঃ (সাইনবোর্ড-গাজীপুর), রাইদা এন্টারপ্রাইজ লিঃ (পোস্তগোলা-ধর), আসমানী পরিবহন লিঃ (মদনপুর-আব্দুল্লাহপুর), সময় ট্রান্সপোর্ট লিঃ (গুলিস্তান-কাঁচপুর), বৈশাখী পরিবহন লিঃ (সাভার নতুনবাজার), রইছ পরিবহন লিঃ (সাভার-নতুনবাজার), এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মিনিবাস মালিক সমিতি (কদমতলী-আব্দুল্লাহপুর) এবং মঞ্জিল এক্সপ্রেস লিঃ (কাঁচপুর-ধউর)-এর বাসের জন্য ই-টিকেট পরিষেবা চালু করা হবে।
যাত্রীদের ঝামেলা কমাতে এবং টিকেটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাসে ই-টিকেটিং পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
একই রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর মধ্যে 'ওভারটেকিং' বা অসুস্থ প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন খন্দকার এনায়েত। বাসের চালকদের মধ্যে ওভারটেক করার প্রবণতাকে একটি সাধারণ অভ্যাস হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি, যার ফলে সড়কে অগণিত দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি ঘটছে।
ই-টিকেটিংয়ের এই ব্যবস্থা অনলাইন টিকেটের মতো নয়। যাত্রীরা অনলাইনে টিকেট কিনতে পারবেন না। তাদেরকে বরং ডিজিটাল পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকেট কিনতে হবে; এই ব্যবস্থা টিকেট কাউন্টারেই থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।