সংঘর্ষের ৩ দিন পর রাবিতে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা শুরু
সংঘর্ষের ঘটনার ৩ দিন পর পরিবেশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। যথারীতি শুরু হয়েছে ক্লাস এবং পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে শুরু হয়েছে বাস চলাচল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, "ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্ররা ক্লাস, পরীক্ষায় ফিরেছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে হওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।"
এদিকে, সংঘর্ষে মারাত্মক আহত চার শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মেসবাউল ইসলাম সায়েম, আইন বিভাগের আল আমিন ও শাহরুখ মাহমুদ এবং মার্কেটিং বিভাগের আলিমুল সাকিব।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ৭টায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ জনকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে ও একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডা. ইউসুফ আলী জানান, "আহত তিন শিক্ষার্থীর চোখের ভেতরে গুলি প্রবেশ করেছে। আমরা বাইরের কাজ করে দিলেও ভেতরের কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে রেফার্ড করা হয়েছে।"
এদিকে, ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে জোহা চত্বরে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। তার সঙ্গে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে স্থানীয়রা ও পুলিশ হামলা করেছে। পুলিশ যখন হামলা করেছে তখন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। সেখানে ঢুকে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে।"
"এখনো বহু শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এই অবস্থায় ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। আমি ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি," যোগ করেন তিনি।
এদিকে, রেললাইন অবরোধ করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার দায়ে ২০০ থেকে ৩০০ জন বিক্ষুব্ধ জনতাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে রেলওয়ে থানায়।