পুতিনকে প্রশংসায় ভাসিয়ে, ইউক্রেন সম্পর্কে তেমন কিছু না বলে রাশিয়ার পথে শি জিনপিং
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সফরের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা। খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
তিন দিনের এ সফরকে চীনা সরকার 'শান্তির জন্য সফর' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
সোমবার রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে শি জিনপিংয়ের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানে জিনপিং চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অন্যদিকে ইউক্রেন সম্পর্কে তেমন কিছুই বলেননি। নিবন্ধের শেষ দিকে মাত্র এক অনুচ্ছেদ বরাদ্দ রেখেছেন ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য।
যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টার বিষয়ে জিনপিং লিখেছেন, 'জটিল সমস্যার সহজ সমাধান নেই।'
জিনপিং আরও লিখেছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে 'সমমর্যাদার, যৌক্তিক ও প্রায়োগিক সংলাপ ও পরামর্শ নিশ্চয়ই এই সংকট নিরিসনের কার্যকরী উপায় বের করতে পারবে।'
রাশিয়া ও ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বেশি উৎসাহ দেখা গেছে জিনপিংয়ের লেখায়।
তিনি লিখেছেন, 'গত ১০ বছরে আমি আটবার রাশিয়া সফর করেছি। প্রতিবার উত্তেজনার সাথে রওনা গিয়েছি এবং দারুণ ফল নিয়ে ফিরেছি। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে চীন-রাশিয়া সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। চীন-রাশিয়ার মৈত্রী দীর্ঘ চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিয়েছে এবং এ সম্পর্ক অবশ্যই আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে হবে।'
এ সফরে সোমবার পুতিন ও জিনপিং একান্ত বৈঠক করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলবেন। মঙ্গলবার জিনপিং রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সভা করবেন। এছাড়া একটি আলোচনা ও ক্রেমলিনে রাষ্ট্রীয় ডিনারে অংশ নেবেন।
রোববার এক নিবন্ধে পুতিন লিখেছেন, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার 'দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা' আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
চীন গত মাসে যুদ্ধে সমাপ্তি টানার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, চীন রাশিয়াকে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র দেওয়ার কথা ভাবছে। যদিও এ দাবি চীন প্রত্যাখ্যান করেছে।
চীনা কর্মকর্তারা জিনপিংকে যুদ্ধে শান্তি চুক্তি করায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় আনতে চাইছেন। যদিও পশ্চিমা নেতারা এ ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
ক্রমেই রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হয়ে ওঠা চীন ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা কিংবা এর সমর্থনে কিছু বলেনি। গত সেপ্টেম্বরে পুতিন চীনের এই 'ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের' প্রশংসা করেন।
পুতিন লিখেছেন, বর্তমানে প্রকৃতপক্ষে রুশ-চীনা সম্পর্কই আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিপ্রস্তর।