'ভারতের উইকেটও সিলেটের মতোই গতিসম্পন্ন হবে'
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। জ্বলে উঠেছেন লিটন দাস, নাজমুল হাসান শান্ত, সাকিব আল হাসান কিংবা মুশফিকুর রহিমরা। প্রথম ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান করার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই সেই রেকর্ড ভেঙে ৩৪৯ রান করেছে বাংলাদেশ।
এই রান বন্যার পেছনে ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি পিচকেও বাহবা দিচ্ছেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
প্রথম দুই ম্যাচেই ৩৩০+ রান করার পেছনে সিলেটের পিচের ভূমিকা স্বীকার করে নিলেন ডোনাল্ড, 'কিউরেটরকে ধন্যবাদ দিতেই হয় এমন উইকেট বানানোর জন্য। এই পিচে বাউন্স ও গতি কিছুটা বেশি। যার জন্য বল ভালোভাবে ব্যাটে আসছে। ব্যাটসম্যানরাও রান করার সুযোগ পাচ্ছে।'
২০২৩ বিশ্বকাপ সামনেই। ভারতের উইকেটও যে খুব একটা ব্যতিক্রম হবে না সেই বিশ্বাস আছে বাংলাদেশের বোলিং কোচের, 'ভারত কিংবা পাকিস্তানের উইকেট খুব বেশি ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বকাপেও আমরা হাই স্কোরিং উইকেটের দেখা পাবো। আমাদের এই ধরণের উইকেটে বেশি বেশি ম্যাচ খেলতে হবে।'
ভারতের পিচ কোথায় ব্যতিক্রম সেটিও জানিয়েছেন ডোনাল্ড, 'ভারতের উইকেটে বল রিভার্স সুইং করবে এটা নিশ্চিত। তাই আমরা এই একটা জায়গায় কাজ করছি, কীভাবে এখানে ভালো করা যায় সেটি বের করার চেষ্টা করছি।'
ডোনাল্ড বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই যেন অন্য রূপে দেখা দিয়েছেন তাসকিন-এবাদত-মুস্তাফিজরা। তরুণদের মধ্যে হাসান মাহমুদও দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। যার কৃর্তিত্ব পাওনা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কিংবদন্তিরও। নিজের শিষ্যদের জন্য প্রশংসা ঝরল ডোনাল্ডের কন্ঠে, 'বোলারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস কাজ করছে। সবাই নিজের জায়গা থেকে প্রস্তুত। আমি জানি, যেদিন এবাদতের বাজে দিন যাবে সেদিন তাসকিন সেটা পুষিয়ে দেবে। একে অপরের জন্য কাজ করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'
এবাদতের জন্য বাড়তি প্রশংসাই যেন জমানো ছিলো বোলিং কোচের, 'এবাদত একটা প্রতিযোগিতা জিতে এখানে এসেছে। যেদিন আমি ওকে প্রথম দেখেছি সেদিনই জানতাম ও বিশেষ কিছু। নিয়মিত ঘন্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করার সামর্থ্য আছে ওর।'
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের আগে পেস বোলিং গুরুর এমন প্রশংসার পর বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটের আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যাওয়ারই কথা।