রাশিয়ার পতাকা উড়িয়ে বাখমুত দখলের ঘোষণা ওয়াগনার প্রধানের
রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্য বাহিনী (পিএমসি) ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা, ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন যুদ্ধে নতুন মাইলফলক অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার ইউক্রেনের বাখমুত শহরের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভিডিও নিয়েছেন জানিয়ে তিনি ঘোষণা দেন, বাখমুত এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
বোমা বিধ্বস্ত শহরটিকে ঘেরা এবং মাসের পর মাস এর দখলের চেষ্টায় রত প্রিগোঝিনের সেনারা বাখমুতের সিটি হলে রাশিয়ার একটি পতাকাও উত্তোলন করেছে বলে জানান তিনি।
টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক অডিও বার্তায় ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেন, "আইনিভাবেই বাখমুতের দখল নেয়া হয়েছে।"
রোববার বিকেলে সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি ক্যাফেতে বোমা বিস্ফোরণে রাশিয়ান মিলিটারি ব্লগার ভ্লাদলেন তাতারস্কি নিহতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রিগোঝিনের এ ঘোষণা এলো।
যদিও ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও পশ্চিমাঞ্চল ছাড়েনি বলে উল্লেখ করেন ওয়াগনার প্রধান।
তাছাড়া ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা কিংবা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ভিডিওটিকে একটি 'স্টান্ট' হিসাবে প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেন বলছে, তাদের সেনাবাহিনীর হাতেই এখনও বাখমুতের দখল।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেন, "শত্রুরা বাখমুতের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করেনি। তবে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা সাহসের সাথে শহরটিকে রক্ষা করে যাচ্ছে; এখন পর্যন্ত তারা প্রচুর আক্রমণ প্রতিহত করেছে।"
ভলোদিমির জেলেনস্কিও রোববার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আমাদের সেনাদের ধন্যবাদ যারা আভদিভকা, মারিইঙ্কা এবং বাখমুতে যুদ্ধ করছেন। বিশেষ করে বাখমুতে, কারণ সেখানে এখন প্রচন্ড উত্তাপ।"
এক বছর আগে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় বাখমুতের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার। এ শহরের দখল নেওয়া হবে রাশিয়ার জন্য অন্যতম বড় সাফল্য।
গত বছর আক্রমণের শুরুতেই সরবরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই শহরটির দখল নেয় রাশিয়া। পরে সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন আবার শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।