শান্তিচুক্তি কার্যকর করতে অন্তত ২ লাখ মিত্র সেনার প্রয়োজন হবে: জেলেনস্কি
রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর দেশের কোনো শান্তিচুক্তি হলেও— তা বাস্তবায়নে অন্তত ২ লাখ মিত্রপক্ষের সেনা মোতায়েন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। ভলোদমির জেলেনস্কি ট্রাম্প জামানায়, ইউরোপের দেশগুলোকে নিজেদের রক্ষার ভার নিজেদের হাতে রাখার পরামর্শও দেন।
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে প্যানেল আলোচনায় মঙ্গলবার এসব কথা বলেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্প কী করবেন– ইউরোপের নেতাদের উচিৎ হবে না নিজেদের এই প্রশ্ন করা। তাঁদের উচিৎ হবে, এই মহাদেশকে রক্ষায় সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া। বিশেষত, যখন এই অঞ্চলে রাশিয়ার আগ্রাসী আক্রমণ চলছে।
তিনি বলেন, "ইউরোপকে শুধু একটি অত্যাবশ্যক খেলোয়াড় নয়, বরং একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।" ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তর কোরীয় সেনাদের অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সবাইকে সতর্ক করেন জেলেনস্কি।
"ভুলে যাবেন না— কোনো সমুদ্র রাশিয়া থেকে ইউরোপকে আলাদা করেনি (যেমন যুক্তরাষ্ট্রকে করেছে)। ইউরোপীয় নেতাদের স্মরণে রাখা উচিৎ, উ. কোরীয় সেনারা যেখানে লড়াই করছে, সেই স্থানটি ভৌগলিকভাবে পিয়ংইয়ংয়ের চেয়েও দাভোসের নিকটবর্তী" - তিনি আরো বলেন।
এই অবস্থায়, ইউক্রেনে শান্তিচুক্তি কার্যকরে মিত্র ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনা মোতায়েনের একটি পরিকল্পনা তুলে ধরেন জেলেনস্কি। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে কোনো শান্তিচুক্তি সই হলে– এসব সেনারা ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকাকে নিশ্চিত করবে।
জেলেনস্কি বলেন, "সব ইউরোপীয় দেশ থেকে অন্তত ২ লাখ সেনা প্রয়োজন হবে। এটা ন্যূনতম সংখ্যা, তা নাহলে কিছুই হবে না।" এসময় শান্তি পরিকল্পনার শর্ত হিসেবে, ইউক্রেনের বর্তমান সেনাসংখ্যা ৮ লাখ থেকে কমিয়ে পাঁচভাগের একভাগ করার যে দাবি রাশিয়া করেছে— সেটিও নাকচ করে দেন।
"পুতিন এটাই চান। আমরা তা হতে দেব না।" মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে একটি বৈঠকের জন্য তাঁর প্রশাসন কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পরে ট্রাম্প বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়াকে ধবংস করছেন, তার উচিৎ একটি চুক্তি করা।