মুম্বাইয়ের এক অধিবাসী আফগানিস্তানের ‘ফার্স্ট লেডি’র জালিয়াতির শিকার!
সাইবার জালিয়াতদের হাতে পাঁচ লাখ টাকা খুইয়েছেন ভারতের মুম্বাইয়ের এক ব্যক্তি। গত শনিবার এ বিষয়ে থানায় একটি এফআইআর-ও লিখিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিনি মুম্বাইয়ের আন্ধেরির বাসিন্দা, পেশায় হিসাবরক্ষক। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি একটি ইমেইল পান। সেখানেই দেওয়া হয় লোভনীয় টোপ।
ইমেইল প্রেরক নিজেকে আফগানিস্তানের 'ফার্স্ট লেডি' বা প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানান, ভারতে বিনিয়োগের জন্য তার কাছে ২২ মিলিয়ন ডলার পাঠাতে চান। এরমধ্যে ২৫ শতাংশ কমিশন বাবদ রেখে বাকিটা তথাকথিত সেই 'ফার্স্ট লেডি'র নামে বিনিয়োগ করবেন এমনটাই ছিল শর্ত। তিনিই যে আফগান ফার্স্ট লেডি, তার প্রমাণ হিসেবে পাসপোর্ট ও ছবিও পাঠান।
আফগান ফার্স্ট লেডি পরিচয়দানকারী ভারতীয় ওই অ্যাকাউট্যান্টকে জানান, ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থানকারী তার ম্যানেজার আলতো বেলি পরবর্তী যোগাযোগ রক্ষা করবেন। প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তি এরপর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কথিত সেই ম্যানেজারের থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল পান। সেখানে তার কাছে দরকারি কাগজপত্রসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য ৩৬০ ডলার চাওয়া হয়।
তিনি ওই অর্থ পরিশোধও করেন। এরপর তাকে জানানো হয়, ইন্দোনেশীয় একটি ব্যাংকের হিসাবে ২২ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে আলতো বেলি সেখান থেকে ভারতীয় ব্যাংকের হিসাবে অর্থ পাঠাতে পারছেন না।
এক সপ্তাহ পর আলতো বেলি আবার যোগাযোগ করেন। এসময় তিনি জানান, টাকা রাখা হয়েছে একটি অফশোর একাউন্টে, সেখান থেকে অন্য মুদ্রায় রুপান্তরের খরচটা দিতে হবে। সরল মনে এবারও ওই হিসাবরক্ষক জালিয়াতদের ৫ লাখ ৯ হাজার রুপি দেন, কিন্তু অধরাই রয়ে যায় ২২ মিলিয়ন ডলার প্রাপ্তি।
গত ৪ এপ্রিল আলতো বেলির সাথে কথা বলেন আবারো। এরপর আফ্রিকান এক ব্যক্তি ব্যাগভর্তি বান্ডিল বান্ডিল নোট নিয়ে তার আন্ধেরির বাসায় আসেন, ওই ব্যক্তি চলে যাওয়ার পর দেখা যায়, ডলার দূরঅস্ত – পুরোটাই কালো কাগজে ঠাঁসা।