ঈদে বিশ্বের নানা প্রান্তের বাহারি সব খাবার!
এক মাস ধরে সিয়াম সাধনার পর আজ দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ইদুল ফিতর। ঈদ উদযাপনের বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে উদরপূর্তি। স্থান ও ঐতিহ্য অনুযায়ী একেক দেশে একেক ধরনের খাবার খাওয়ার চল।
ঈদে প্রায় সব দেশেই বিশেষ মিষ্টান্ন বানানোর রীতি আছে। আমাদের যেমন আছে সেমাই-পায়েস, তেমনি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের কদর রয়েছে।
ইরাকে ঈদে গোলাপজল ও খেজুর মিশ্রিত পেস্ট্রি খাওয়ার রীতি রয়েছে। এর নাম 'ক্লাইকা'। দেশটিতে ঈদের দিনের আহার শুরু হয় মহিষের দুধের সর, রুটি ও মধু দিয়ে।
অন্যদিকে সৌদি আরবে ঈদের দিন 'দেবেআজাহ' নামে এক ধরনের মিষ্টান্ন খাওয়া হয়। এছাড়া, 'আসিদা' নামের পুডিং জাতীয় একটি খাবার সৌদি আরব, লিবিয়া, সুদান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খাওয়া হয়ে থাকে।
ওদিকে, লেবানন ও সিরিয়াবাসী ঈদের ভোরে খেজুর ও আখরোটের পুর দেওয়া 'মামৌল কুকি' খেয়ে সিয়াম সাধনার মাসের অবসান ঘটান। ফিলিস্তিনে ঈদে তৈরি করা হয় আমন্ড ও পাইন নাটের তৈরি 'গ্রেইবে বাটার কুকি'।
ইন্দোনেশিয়ানরা 'ল্যাপিস লেজিট' নামক মশলাদার একটি লেয়ার কেক বানান। ঔপনিবেশিক ডাচদের কাছ থেকে এই কেকের ধারণা এসেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ ও ভারতে ঈদের বিশেষ খাবার হচ্ছে সেমাই। ঈদের দিন সকালে ঘিয়ে ভাজা বা দুধে ভেজানো সেমাই দিয়েই সকালের নাস্তা করা হয়।
অন্যদিকে, দুধে ভেজানো ড্রাই ফ্রুট ও খেজুর সমেত সেমাইয়ের এক ধরনের স্যুপি পুডিং খাওয়া হয় পাকিস্তানে, এর নাম 'শের খোরমা'।
মিশরে ঈদে মাছ সবসময়ই বিশেষ আকর্ষণ। অন্যদিকে ইরাক, ইন্দোনেশিয়ায় ইদের দিন ভেড়ার মাংস জনপ্রিয়। মালয়েশিয়ায় ঈদে নারকেল দিয়ে ঝাল গরুর মাংস রান্না হয়। এর নাম 'বিফ রেন্ডাং'।
ঈদ সবার জন্য খুশির বার্তা বয়ে আনলেও বিশেষ করে শিশুদের কাছে দিনটি যেন একটু বেশিই উপভোগ্য।
তুরস্কে শিশুরা পরিবার আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি বেড়াতে গেলে তাদের ছোট ছোট অনেক উপহার দেওয়া হয়। পেস্তা, গোলাপজল, চিনি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি 'লোকুম' খেতে দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের সবাই একত্র হয়ে বড় পরিসরে খাওয়ার আয়োজন করে।