ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনতে ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব কাতারি শেখের!
গত কয়েক বছর ধরেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে ক্লাবের মালিকপক্ষ। আমেরিকান ধনাঢ্য পরিবার গ্লেজার্সরা ২০০৫ সালে কিনে নেন ইংল্যান্ডের অন্যতম বড় এই ক্লাবটি। তাদের মালিকানার অধীনে ইউনাইটেড বেশকিছু বড় শিরোপা জিতেছে।
এবার গ্লেজার্সদের সঙ্গে ইউনাইটেডের ১৮ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে। রেড ডেভিলদের কিনে নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের চূড়ান্ত প্রস্তাব দিয়েছেন কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও ব্যাংকার শেখ জসিম বিন হামাদ আল থানি এবং ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার জিম র্যাটক্লিফ।
দুজনই এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দরপ্রস্তাব করেছেন। এর আগের দুবারের প্রস্তাব পছন্দ হয়নি ইউনাইটেডের বর্তমান মালিক পক্ষের।
তৃতীয়বারের মতো এই দরপ্রস্তাব হাঁকার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল গতকাল পর্যন্ত। এএফপি জানিয়েছে, ইউনাইটেডকে কেনার জন্য তৃতীয় দফায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ডের কিছু বেশি দর হেঁকেছেন শেখ জসিম। র্যাটক্লিফ কত দাম হেঁকেছেন, তা জানা যায়নি।
শেখ জসিম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শতভাগ মালিকানা পেতে চান এবং দলবদলের বাজারে টাকা ঢালার পাশাপাশি ক্লাবের অবকাঠামো পাল্টানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। অনুশীলনকেন্দ্র ঠিক করার পাশাপাশি ওল্ড ট্র্যাফোর্ড সংস্কার কিংবা নতুন একটি স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে শেখ জসিমের দরপ্রস্তাবে। এ ছাড়াও ইউনাইটেডের ৬২ কোটি ডলার দেনা মোচনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন শেখ জসিম।
এদিকে ব্রিটেনভিত্তিক কেমিক্যাল কোম্পানি আইএনইওএসের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী প্রধান জিম র্যাটক্লিফ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পার ভক্ত। বিলিয়েনেয়ার এই ব্যক্তি এবার নিজের সমর্থন করা ক্লাবকে কিনে নিতে বদ্ধ পরিকর বলেই শোনা যাচ্ছে।
এএফপি জানিয়েছে, শেখ জসিমের মতো র্যাটক্লিফ ইউনাইটেডের শতভাগ মালিকানা চান না। ৫০ ভাগের কিছু বেশি মালিকানার জন্য দরপ্রস্তাব হেঁকেছেন র্যাটক্লিফ, যাতে ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেন।
র্যাটক্লিফ যে দরপ্রস্তাব দিয়েছেন, সে অনুযায়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নির্বাহী কো-চেয়ারম্যান জোয়েল ও আভ্রাম গ্লেজারের ভাগে ক্লাবের ২০ শতাংশ করে শেয়ার থেকে যায়। যুক্তরাস্ট্রের ধনকুবের গ্লেজার পরিবারের মালিকানায় ইউনাইটেডকে অনেক সমর্থকই দেখতে চান না।
গ্লেজার্সরা বিদায় নিলে ইউনাইটেড ভক্তরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন বলা চলে। গেল কয়েক বছরে ক্লাব থেকে টাকা তুলে নিলেও সার্বিক অবকাঠামোর তেমন উন্নতি চোখে পড়েনি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও গ্লেজার্সদের বেশ সমালোচনা করেছিলেন কিছুদিন আগেই।