মারা গেলেন মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় উপস্থাপক জক জোনফ্রিলো
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় উপস্থাপক জক জোনফ্রিলো মাত্র ৪৬ বছর বয়সে হঠাৎ মারা গেছেন।
রোববার (৩০ এপ্রিল) জোনফ্রিলোকে তার মেলবোর্নের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পায় পুলিশ। তবে তার মৃত্যুকে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
মাস্টারশেফের ২০২৩ সিজনের প্রিমিয়ার সম্প্রচারের দিন তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রচারক নেটওয়ার্ক ১০। মাস্টারশেফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সপ্তাহে তারা জোনফ্রিলোর প্রতি সম্মান জানিয়ে সম্প্রচার বন্ধ রাখবে।
মৃত্যুকালে স্ত্রী ও চার সন্তান রেখে গেছেন জোনফ্রিলো। এক বিবৃতিতে তার পরিবার জানিয়েছে, জোনফ্রিলোর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে তাদের 'হৃদয় বিদীর্ণ' হয়ে গেছে।
'অনেক শব্দ দিয়ে তাকে বর্ণনা করা যেতে পারে, অনেক গল্প বলা যেতে পারে... যারা চলার পথে তার সঙ্গী হয়েছেন কিংবা তার পরিবার হওয়ার সৌভাগ্য যাদের হয়েছে, আপনার তাকে প্রার্থনায় রাখুন,' উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়াতে নিজের রেস্তোরাঁ খোলার আগে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাতসব রেস্তোঁরাতে বিশ্বখ্যাত শেফদের সঙ্গে কাজ করেছেন এই স্কটসম্যান।
বিখ্যাত শেফ গর্ডন রামসে, অস্ট্রেলিয়ান গায়ক জিমি বার্নস এবং সহকর্মী শেফ কলিন ফ্যাসনিজ জোনফ্রিলোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
রামসে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, 'এই খবরে আমি মর্মাহত... মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের একসঙ্গে কাটানো সময়গুলো আমি সত্যিই অনেক উপভোগ করেছিলাম।'
১৯৭৬ সালে গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণ করেন জক জোনফ্রিলো। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি রান্নাঘরে কাজ শুরু করেন। ১৫ বছর বয়সে বিলাসবহুল স্কটিশ রিসোর্ট দ্য টার্নবেরি হোটেলে সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ নিয়েছিলেন তিনি।
এর বছর দুই পরে তিনি মিশেলিন-তারকা জয়ী ব্রিটিশ শেফ মার্কো পিয়ের হোয়াইটের বিখ্যাত হাইড পার্ক হোটেলে কাজ শুরু করেন।
তবে অল্প বয়সে ক্যারিয়ারে ভালো সত্ত্বেও জোনফ্রিলো কৈশোরে গৃহহীন এবং হেরোইনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। ২০২১ সালে প্রকাশিত তার স্মৃতিকথা 'দ্য লাস্ট শট'-এ নিজের মাদকাসক্তির সঙ্গে সংগ্রামের কথা লিখেছেন তিনি।