তারা সবাই বন্ধুর কাছে ঋণী: জনি ডেপ, র্যাডক্লিফ, সেলেনা...
বিনোদন জগতের বহু তারকার ক্যারিয়ার গড়ে ওঠার পেছনেই হাত রয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ কোনো সূত্রের। সেটা হতে পারে অন্য কোনো বিখ্যাত অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক কিংবা শিল্প সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ। হলিউডেও অনেক তারকাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কথা বহুল চর্চিত। শুধু ক্যারিয়ারই নয়, ব্যক্তিগত জীবনের নানা উত্থান-পতনেও তারা একে অপরের পাশে দাঁড়ান এবং বিভিন্ন ইভেন্টে বা সাক্ষাৎকারে স্বীকারও করেন তাদের বন্ধুদের অবদানের কথা। সম্প্রতি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইসের একটি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে তেমনই কিছু বহুল আলোচিত তারকা বন্ধুদের কথা।
১. নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সিটকম 'ফ্রেন্ডস' এর শেষ এপিসোডটি প্রচারিত হবার প্রায় দুই দশক পরেও কোর্টনি কক্স, জেনিফার অ্যানিস্টন এবং লিসা কুড্রো এখনও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোর্টনি কক্স যখন হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার 'তারকা' উন্মোচন করলেন, তখন বাকি দুজনও তার পাশে ছিলেন। এই দুজন ছাড়াও অভিনেত্রী লরেন ডার্নও কোর্টনি কক্সের ভালো বন্ধু, যিনি এই ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপনসূচক বক্তব্যে কোর্টনি জানিয়েছেন, তার সহ-অভিনেত্রীরা তার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, "তারা আমার খুব ভালো বন্ধু এবং আমার পরিবারের মতো। তারা আমার বোনের মতো... সে কারণেই সবকিছু এতটা স্বস্তিদায়ক মনে হয়।"
তার কথার প্রেক্ষিতে পরে জেনিফার অ্যানিস্টন বলেন, "শুরু থেকেই যখন কোর্টনির সঙ্গে আমাদের দেখা হয়, সাথেসাথেই ও আমাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল, আমাদেরকে ভালোবাসার সাথে গ্রহণ করেছিল এবং আমাদের সম্পর্কে জানতে খুবই উৎসুক ছিল। আর ভক্ত হিসেবে আমি তোমাকে ধন্যবাদ দিয়ে চাই কারণ তুমি আমাদের হাসিয়েছো, আনন্দ দিয়েছো। আমার কাছে কোর্টনির জোকের চাইতে মজার আর কিছুই নেই। আমাদের সঙ্গে কাজ করে আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।"
২. মার্কিন গায়িকা-অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ এবং ফ্রান্সিয়া রাইসার বন্ধুত্বের বয়স এক দশকেরও বেশি। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের বন্ধুত্বের কথা জানতে পারে ২০১৭ সালে দিকে, যখন রাইসা লুপাস রোগে আক্রান্ত সেলেনার জন্য কিডনি দান করেন। সম্প্রতি তাদের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার গুজব ছড়ালেও সেলেনা জানিয়েছেন তা সত্য নয়। সেলেনা রাইসাকে তার 'বেস্ট ফ্রেন্ড' বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, "আমি কোনোদিনই রাইসার চেয়ে আর কারো প্রতি বেশি ঋণী থাকতে পারবো না।"
৩. 'পাইরেটস অব দ্যা ক্যারিবিয়ান' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি পাওয়া, সবার প্রিয় ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো অর্থাৎ জনি ডেপকে কে না চেনে! কিন্তু আপনি কি জানেন যে অভিনেতা নিকোলাস কেজই প্রথম জনি ডেপকে পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিনয়ে নামতে? আশির দশকের শুরুর দিকে একদিন মনোপলি গেম খেলার সময় নিকোলাস ডেপের সামনে এ প্রসঙ্গ তোলেন এবং নিজের এজেন্টের সঙ্গে ডেপের যোগাযোগ করিয়ে দেন। এর আগপর্যন্ত ডেপের ইচ্ছা ছিল সঙ্গীতে ক্যারিয়ার গড়ার।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস'কে কেজ বলেন, কেজ ডেপকে তার এজেন্টের সাথে দেখা করতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি ডেপকে 'আ নাইটমেয়ার অন এলম স্ট্রিট' ছবির জন্য প্রথম অডিশনে পাঠান এবং সেদিনই তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান।
৪. ২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে ড্যানিয়েল র্যা ডক্লিফ বলেছিলেন, "তিনি আসলে আমাকে হ্যারি পটারে অভিনয়ের কাজ পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছেন। তাই যারা এই গল্প জানেন না, তাদের জন্য বলছি আমি আমার ক্যারিয়ারে সবকিছুর জন্যই ম্যাগি স্মিথের কাছে ঋণী।"
'হ্যারি পটার' তারকা আরও বলেন, "আমি তার সঙ্গে ডেভিড কপারফিল্ডে কাজ করেছি, পরে তিনি প্রফেসর ম্যাকগনাগল হয়ে হ্যারি পটারে হাজির হলেন এবং পরিচালককে (ক্রিস কলম্বাস) বললো, তোমার এই ছেলেটির অডিশন নিতেই হবে।" আর এভাবেই সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম বিখ্যাত একটি চরিত্র ড্যানিয়েল র্যা ডক্লিফের হাতের মুঠোয় চলে যায় এবং হ্যারি পটার সিরিজের সব ছবিতে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।
৫. টিনেজ বয়স থেকে অ্যালকোহল ও মাদক সেবনের সমস্যায় ভুগতেন অভিনেত্রী ড্রিউ ব্যারিমোর। কিন্তু ক্যামেরন ডিয়াজের মতো নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু যদি তার পাশে না দাঁড়াতেন, তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারতেন না 'ই.টি.' তারকা। ২০১৯ সালে এই অভিনেত্রীর বন্ধুরা মিলে একটি মধ্যস্থতার ব্যবস্থা করেন যেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্যামেরন ডিয়াজ। এরপর থেকে আর কখন মদ্যপান করেননি ড্রিউ ব্যারিমোর।
'লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস'কে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন ডিয়াজ বলেছিলেন, "আমি জানতাম যে আমরা সবাই যদি ওর পাশে থাকি এবং সহায়তা করি তাহলে ও ঠিকই নিজের রাস্তা খুঁজে নিবে। আমার ওর উপর পূর্ণ বিশ্বাস ছিল। আপনি ভাবতেও পারবেন না ছোটবেলায় তার জন্য এই বিষয়গুলো কতটা কঠিন ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ঠিকই নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে।
২০১৯ সালে নিজের 'দ্য ড্রিউ ব্যারিমোর শো' আরম্ভ করা ছিল অভিনেত্রীর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। "আমার মনে হয়, এ ধরনের শো'তে যেরকম সুযোগ থাকে তা সত্যিই আমাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে শিখিয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল, আমি যদি একটা স্পষ্ট অবস্থানে না থাকি তাহলে এই শো আমি পরিচালনা করতে পারব না", বলেন ড্রিউ ব্যারিমোর।
৬. সাম্প্রতিক সময়ে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ সফলতা পেয়েছেন পেড্রো প্যাসকেল। এর জন্যে 'দ্য লাস্ট অব আস' এবং 'দ্য ম্যান্ডালোরিয়ান' নামক দুটি শো'কে ধন্যবাদ দিতেই হয়। কিন্তু চিলিতে জন্ম নেওয়া এই আমেরিকান অভিনেতার জন্য সফলতার যাত্রাটা এতটা সহজ ছিল না বলেই জানিয়েছেন তার বন্ধু সারাহ পলসন। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে তাদের দুজনের পরিচয় এবং তখন সবেমাত্র তারা ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। 'এস্কোয়ার' ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পলসন বলেছিলেন, "এমনও সময় ছিল যখন আমি নিজে চাকরি করে প্রতিদিন ওকে খাবারের জন্য টাকা দিতাম।" কিন্তু ততদিনে পলসন বুঝে গিয়েছিলেন যে পেড্রোর মধ্যে প্রতিভা আছে এবং তিনি মনে করেন, পেড্রোর ক্যারিয়ার এখনও মাত্র শুরুর দিকে।
"রোমান্টিক কমেডি ঘরানার আগের নায়কদের কাছ থেকে ও যেন লাগাম নিজের হাতে নিতে পারে তা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। আমি জানি ও এটা পারবে", বলেন পলসন। তিনি আরও মজা করে বলেন, "চলুন পেড্রোকে নিয়ে 'ডাই হার্ড' বা 'লেদাল ওয়েপন' সিনেমাগুলোর রিমেক করা যাক!"
৭. হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা টম হ্যাংকস যেদি সেসিল বি. ডেমিল অ্যাওয়ার্ড জেতেন, শার্লিজ থেরন মঞ্চে তার হাতে সেই পুরস্কার তুলে দেন এবং আবেগঘন বক্তব্যের মাধ্যমে তাকে ধন্যবাদ জানান। থেরন 'দ্যাট থিং ইউ ডু' সিনেমায় তার প্রথম অডিশনের কথা স্মরণ করেন, যে ছবির পরিচালক ছিলেন টম হ্যাংকস।
অভিনেত্রী বলেন, "ভেবেছিলাম অডিশনে গিয়ে পুরোপুরি গুলিয়ে ফেলবো সবকিছু... আমি নিঃশ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছিলাম এবং তখন টম আমার দিয়ে তাকাল এবং বললো- "দুঃখিত শার্লিজ, তুমি কি আমাকে পাঁচ মিনিট সময় দেবে? আমার একটু বাইরে যেতে হবে, আমি এক্ষুণি ফিরে আসছি। তারপর আমরা এই দৃশ্যটা আবার করবো।' কিন্তু টমের আসলে সেই পাঁচ মিনিট দরকার ছিল না, দরকার ছিল আমার; যাতে করে আমি আমার উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে উঠতে পারি। ওই পাঁচ মিনিট আমার কাছে একটা সেরা উপহারের মতো ছিল; কারণ টম দেখেছিল যে একটা তরুণ অভিনেত্রী চিন্তায় ঘেমে যাচ্ছে এবং প্যানিক অ্যাটাকের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, এজন্যেই সে বেরিয়ে গিয়েছিল। এতটাই উদার মনের মানুষ সে। এজন্যই আমরা সবাই টম হ্যাংকসকে ভালোবাসি।"
৮. সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আগে, ২০১০ সালে ব্রিটিশ গায়ক এড শিরান মার্কিন অভিনেতা জেমি ফক্সের বাড়িতে কিছুদিন থেকেছেন। দ্য গ্রাহাম শো'তে ফক্স বলেছিলেন, 'শেইপ অব ইউ' গায়ক জানতেন যে ফক্সের রেডিও শো আছে যার নাম 'ফক্সহোল'; তাই তিনি অনুরোধ করেছিলেন সেখানে যেন তার কিছু গান প্রচার করা হয়। গানগুলো শোনার পর ফক্স বুঝতে পারেন যে এড শিরান কত বড় একজন প্রতিভা এবং তিনি তখন শিরানকে তার ঘরেই বাড়িতেই থাকতে দেন।
ফক্স বলেন, "আমি বলেছিলাম ওকে- দেখো আমি জানি তোমার এখন আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাই তুমি এখানেই থাকতে পারো। আমি তাকে খাইয়েছি, এমনকি আমার মেয়েও আমাকে জিজ্ঞেস করেছে 'এবার তোমার বাড়িতে কে থাকছে?"
৯. সঙ্গীত প্রযোজক ডা. লুককের উপর যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে রেকর্ডের চুক্তি থেকে সরে আসতে চেয়েছিলেন মার্কিন গায়িকা কেশা। কিন্ত বিচারক তার সেই আবেদন ফিরিয়ে দেন। কেশার এমন পরিস্থিতিতে টেইলর সুইফট তাকে আড়াই লাখ ডলার দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। সুইফটের পাশাপাশি লেডি গাগা ও লর্ডের মতো শিল্পীরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় কোর্টের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন।
১০. ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পেনেলোপ ক্রুজ এবং সালমান হায়েক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এই স্প্যানিশ ও মেক্সিকান-আমেরিকান অভিনেত্রীর বন্ধুত্ব হলিউডের সবচেয়ে সেরা বন্ধুত্বের উদাহরণগুলোর একটি। বিভিন্ন সময়ে নানা ঘটনায় একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা দুজন। তবে সালমা হায়েক যখন স্বীকার করেন যে ২০১৭ সালে প্রযোজক হার্ভে উইনস্টাইন তাকে হেনস্থা করেছিলেন, এরপরে পেনেলোপ ক্রুজ সালমা হায়েককে উৎসর্গ করে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট লেখেন।
পেনেলোপের পোস্টটি ছিল এরকম- "প্রিয় বন্ধু, তোমার প্রতি ভালোবাসা। কিন্তু আমাদের সম্মান বজায় রাখার জন্য কেন আমাদের কেন এত উগ্রভাবে লড়াই করতে হবে? আমার মনে হয় এর কারণ নারী হিসেবে আমাদেরকে শৈল্পিকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তারা বুঝতেই চায় না যে নারী দর্শকরা কি দেখতে চায় এবং কী ধরনের গল্প আমরা বলতে চাই।"
১১. 'গুড উইল হান্টিং' ছবির দুই তারকা ম্যাট ডেমন এবং বেন অ্যাফ্লেকের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয় যখন ম্যাটের বয় ১০ এবং বেন অ্যাফ্লেকের বয়স মাত্র ৮ বছর। ম্যাট ডেমনের উদ্দেশ্যে কেউ একজন কটূক্তি করায় এর প্রতিবাদ করেছিলেন বেন। "আমার মনে আছে সেটা ছিল আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। এই ছেলেটা (বেন অ্যাফ্লেক) আমাকে রক্ষার জন্য নিজেকে একটা বিপজ্জনক অবস্থানে ফেলে দিয়েছিল। এরকম একজন মানুষই আসলে ভালো বন্ধু হতে পারে", এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ম্যাট ডেমন।
কয়েক সপ্তাহ আগে যখন দুজনের সিনেমা 'এয়ার' এর প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, তখন এই তারকাদ্বয় জানান যে তাদের দুজনের একটি যৌথ ব্যাংক একাউন্টও রয়েছে যাতে করে তারা তাদের বিভিন্ন বিল দিতে পারেন।
১২. আনা দে আর্মাস এবং এলেনা ফুরিয়াজের পরিচয় 'দ্য বোর্ডিং স্কুল' নামক একটি শো থেকে। ২০০৭ সালে তারা দুজনেই এই শো'তে অভিনয় করেছিলেন। এরপর থেকেই দুজনের জুটি অবিচ্ছেদ্য। ১৮ বছর বয়সে আনা দে আর্মাস নিজ দেশ কিউবা থেকে মাদ্রিদে চলে আসেন এবং এত অল্প বয়সে নতুন একটি দেশে মানিয়ে নেওয়া তার জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু এলেনা এবং তার পরিবার সেখানে তাকে আপন করে নেয়।
ভোগ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে 'ব্লন্ড' তারকা বলেন, তিনি এলেনার মা ললিতা ফ্লোরেসকে নিজের আরেক মা হিসেবে মনে করেন। এমন অনেক দিন গেছে যখন আমি কিউবায় নিজের মা-বাবাকে খুব মিস করছিলাম এবং কান্না করছিলাম, তখন এলেনা এবং তার মা আমার সাথে এক বিছানায় শুয়ে আমাকে সান্ত্বনা দিতেন এবং আমার মন ভালো করার চেষ্টা করতেন।
তারকাখ্যাতি পাওয়ার পরেও এলেনার সঙ্গে বন্ধুত্ব ফিকে হয়নি আনা দে আর্মাসের। 'ব্লন্ড' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আনা দে আর্মাস অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন জানার পর এলেনা ফুরিয়াজ তার ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে নিজের বান্ধবীকে অভিনন্দন ও ভালোবাসা জানিয়েছেন।