ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: সেন্টমার্টিন ছাড়ছে স্থানীয়রা, প্রস্তুত ১৭ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র ছোবল থেকে বাঁচতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফে আসতে শুরু করেছে মানুষ। পাশাপাশি দ্বীপে অবস্থিতদের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র।
ঘূর্ণিঝড়টি শক্তিশালী হয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ সহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের উপর দিয়ে বয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা যাচ্ছে না।
"দ্বীপে ব্যবসার জন্য অবস্থান নেওয়া বাইরে লোকজন এবং দ্বীপের কিছু সংখ্যক মানুষ টেকনাফে এসেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হলে দ্বীপের মানুষদের টেকনাফে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে চলে আসার প্রবণতা রয়েছে। এটা তাই অংশ," বলেন তিনি।
তিনি জানান, "আতংকের কোন কারণ নেই। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।"
দ্বীপের মানুষদের ওখানে আশ্রয় নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধি খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, দ্বীপের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। স্কুল, হোটেল ও রিসোর্টগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
তিনি জানান, সেন্টমার্টিনের ১০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে ট্রলারযোগে দ্বীপ ছেড়েছেন দেড় হাজারের মতো বাসিন্দা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, "প্রশাসন মানুষজনের নিরাপত্তায় সর্ব্বোচ সজাগ রয়েছে। বিশেষ করে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের জীবন রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"
এদিকে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র কারণে কক্সবাজারের পরিস্থিতি তেমন পরিবর্তন হয়নি।