২ দিনের মধ্যেই লোডশেডিং, গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দুই দিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ ও লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ দিন। আজ রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় মোখায় একটি ভাসমান এলএনজি স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) এর পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাইপলাইনটি পুনরায় মেরামত করতে ১০-১২ দিন লাগতে পারে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করবে'।
১২ দিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিটটি এলএনজি গ্যাসে রুপান্তর করে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় দেশজুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যায়। গতকাল শনিবার ২,০০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
এর আগে ১২ মে সাইক্লোন মোখার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাত ১১টা থেকে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। এসময় ভাসমান রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটটিকে গভীর সাগরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সরবরাহ বন্ধের আগে টার্মিনাল দুটি থেকে থেকে দৈনিক ৬৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আসতো। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাতীয় গ্রিড দিনে ২,৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করেছে।
কিন্তু, গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকা।