বিএসপিএ অ্যাওয়ার্ড: বর্ষসেরা লিটন, পপুলার চয়েজ সাবিনা
দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস। পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। দেওয়া হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার। রোববার ঢাকার একটি হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২২ সালের সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়ার (এআইপিএস এশিয়া) ভাইস প্রেসিডেন্ট মোবারক আলবোয়াইন ও সেক্রেটারি জেনারেল আমজাদ আজিজ মালিক।
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পাশাপাশি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও পেয়েছেন লিটন। ২০২২ সালে ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটানো জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, 'এ রকম একটা পুরস্কার পাওয়া ভাগ্যের এবং সম্মানের। আমরা দেশের জন্যই খেলি। এ রকম পুরস্কার আমাদেরকে আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করে। দোয়া করবেন, পরেরবার যেন আরও ভালো করতে পারি; পুরস্কারের মঞ্চে আবার আসতে পারি।'
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জেতা সাবিনার ঝুলিতে উঠেছে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারও। প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক বলেন, 'যেকোনো পুরস্কারই আমাদেরকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা জোগায়। বিএসপিএর এই পুরস্কার পেয়ে আমি খুশি। আগামীতে আরও ভালো করার জন্য এই পুরস্কার আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।'
বিএসপিএ'র আয়োজনের প্রশংসা করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান বলেন, 'এই অনুষ্ঠানে আমি আগেও এসেছি। দিন দিন এই অনুষ্ঠানের কলেবর আরও বড় হচ্ছে, জাকজমকপূর্ণ হচ্ছে। বিএসপিএ বাংলাদেশের ক্রীড়া সংবাদিকতাকে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। তারা এশিয়ার ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠন হয়েছে। এই অর্জনে আমিও গর্বিত।'
বিএসপিএ অ্যাওয়ার্ডে পুরস্কার পাওয়া ক্রীড়াবিদরা:
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ: লিটন কুমার দাস (ক্রিকেট); পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড: সাবিনা খাতুন (ফুটবল); বর্ষসেরা ক্রিকেটার (পুরুষ): লিটন কুমার দাস, বর্ষসেরা ক্রিকেটার (নারী): নিগার সুলতানা জ্যোতি, বর্ষসেরা ফুটবলার (পুরুষ): রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো (ব্রাজিল), বর্ষসেরা ফুটবলার (নারী): সাবিনা খাতুন, বর্ষসেরা আর্চার: নাসরিন আক্তার, বর্ষসেরা হকি খেলোয়াড়: আশরাফুল ইসলাম, বর্ষসেরা অ্যাথলেট: ইমরানুর রহমান, বর্ষসেরা কোচ: গোলাম রব্বানী ছোটন (বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল), উদীয়মান ক্রীড়াবিদ: নাফিজ ইকবাল (টেবিল টেনিস), সিফাত উল্লাহ গালিব (ব্যাডমিন্টন), বর্ষসেরা তৃণমূল সংগঠক: আমিরুল ইসলাম (কুষ্টিয়ার সাঁতার কোচ), বিশেষ সম্মাননা: সুমিতা রানী (হার্ডলার), সেরা সংস্থা: বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন, বিশেষ সংবর্ধনা: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দল ও ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট দল।