কম্বোডিয়াকে হারিয়ে সাফের প্রস্তুতি সারলো বাংলাদেশ
সাফের প্রস্তুতি হিসেবে কম্বোডিয়া সফরে যায় বাংলাদেশ। দেশটির ক্লাব হলেও টিফফি আর্মিকে হারিয়ে প্রস্তুতি পর্বের শুরুটা ভালোই হয় জামাল ভূঁইয়ার দলের। এবার কম্বোডিয়ার বিপক্ষেও জয়ের হাসি হাসলো বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি সারার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও সঞ্চয় হলো তাদের।
বৃহস্পতিবার নম পেনে জাতীয় অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন জনি, ২৫তম মিনিটে কম্বোডিয়ার জাল খুঁজে নেন তিনি।
নম পেনে জাতীয় অলিম্পিক স্টেডিয়াম দর্শকে ঠাসা ছিল। যা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা চাপ হয়ে দাঁড়ায়। যার প্রভাব পড়ে পারফরম্যান্সে। ম্যাচ শুরুর পরপরই ভুল পাসে বিপদে পড়ছিল তারা। প্রতিপক্ষের পায়ে বল তুলে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। এ যাত্রায় তপু বর্মন দলকে বাঁচান।
শুরু থেকেই আক্রমণ সাজানো কম্বোডিয়া ছন্দ ধরে রেখে খেলতে থাকে। পাল্টা আক্রমণের বদলে নিজেদের রক্ষণভাগ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয় বাংলাদেশকে। উপরের দিকে খেলোয়াড় সেভাবে বলের যোগানই পাননি।
২২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ তৈরি হলেও জালের ঠিকানা মেলেনি। সুমন বল নিয়ে হানা দিলে চৌন-চানকাভ ট্যাকল করে তাকে ফেরান, ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু জামাল ভূঁইয়ার নেওয়া দুর্বল ফ্রি-কিক সহজেই তালুবন্দী করেন কম্বোডিয়ার গোলরক্ষক। ম্যাচে এটাই বাংলাদেশের প্রথম আক্রমণ ছিল।
২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে ফাহিমের আড়াআড়ি ক্রসে জনির ভলিতে বল জড়িয়ে যায় জালে। বাংলাদেশের জার্সিতে এই প্রথম গোল পেলেন জনি। এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের জাল অক্ষত রাখে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এবার 'বি' গ্রুপে আছে বাংলাদেশ। গ্রুপের বাকি তিন দল লেবানন, মালদ্বীপ ও ভুটান। ২২ জুন লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু হবে কারবেরার দলের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে মালদ্বীপ ও ভুটান।