রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাশেজে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া
অ্যাশেজ মানেই রোমাঞ্চের পসরা। সেটি কেন, তার প্রমাণ আরেকবার মিলল এজবাস্টনে। পাঁচদিনের উত্তেজনায় ঠাসা খেলা শেষে ইংল্যান্ডকে দুই উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিতে গেল অস্ট্রেলিয়া।
এ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক বিশ্বের সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যানদের কেউ নন। এক, দুই ও তিন নম্বরে থাকা তিন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ আর ট্রাভিস হেডরা খুব বেশি জ্বলে উঠতে পারেননি। হেড তাও প্রথম ইনিংসে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন। বাকি দুজন একেবারেই ব্যর্থ।
তাও অস্ট্রেলিয়া জিতেছে উসমান খাওয়াজা আর অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের দৃঢ়তায়। সঙ্গে ছিলেন নাথান লায়নও। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা শেষ দিনের খেলায় অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন কামিন্স।
শেষ দিনের খেলায় জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিলো ১৭৪ রান, ইংল্যান্ডকে নিতে হতো সাত উইকেট। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘন্টা ১৫ মিনিট পর শুরু হওয়া খেলায় নখ কামড়ানো টেনশন ছিলো প্রতি বলেই।
নাইটওয়াচম্যান স্কট বোলান্ডকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের দিকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ট্রাভিস হেডও মাত্র ১৬ রান করে ফিরলে চাপে পড়ে অজিরা। তবে এরপর ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান উসমান খাজা।
গ্রিন বাজে শট খেলে আউট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে খাজাও ফিরে যান। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স যখন ক্রিজে আসেন তখন দলের প্রয়োজন ৭২ রান। অজিদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি আউট হওয়ার পর ম্যাচ জেতা ইংল্যান্ডের জন্য সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু প্যাট কামিন্স আর নাথান লায়ন যেভাবে প্রচন্ড চাপের মুখে ম্যাচ বের করে নিলেন, সেটি দেখে শিখতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ব্যাটসম্যানরাও। ইংল্যান্ডকে আর কোনো সুযোগ না দিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দেন এই দুই 'বোলার'। অধিনায়ক কামিন্স অপরাজিত থাকেন ৪৪ রান করে, লায়ন করেন ১৫ রান।
প্রথম ইনিংসে ১৪১ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রান করে অজিদের জয়ে বড় ভূমিকা রাখা উসমান খাওয়াজা হয়েছেন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।
১-০ তে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে লর্ডসে খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে ইংল্যান্ড। তাই অ্যাশেজের আরেকটি দুর্দান্ত লড়াই দেখার প্রত্যাশায় সবাই।