ইউনিসেফের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে রোহিঙ্গাদের করোনা হাসপাতাল
জাতিসংঘ পরিচালিত বিশ্বের বৃহত্তম ঘনবসতিপূর্ণ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় একটি স্বতন্ত্র হাসপাতাল নির্মাণ করবে ইউনিসেফ।
প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৬০ থেকে ৭০ হাজার শরনার্থী বসবাস করেন কক্সবাজার জেলার কয়েকটি ক্যাম্পে। এই অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সেখানে প্রথম দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের শিশুকল্যাণ তহবিল এই হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেয়।
এদিন এক বিবৃতিতে জানানো হয়, 'সেভার অ্যাকিউট র্যাস্পেটরি ইনফেকশনে আক্রান্তদের জন্য ২১০ শয্যার একটি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে 'বিচ্ছিন্ন' রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। আগামী ২২ মে'র মধ্যেই স্থাপিত হবে প্রথম ৯০ শয্যা। বাকিগুলো স্থাপনের কাজ ৩০ মে'র মধ্যেই শেষ করা হবে।'
নতুন হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলার সময় ইউনিসেফ পরিচালিত এক ডায়ারিয়া চিকিৎসা কেন্দ্রের ৩০টি শয্যাকে আইসোলেশন এবং চিকিৎসা কেন্দ্রেও রূপান্তর করবে। আজদিনের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। তবে সেখানে পর্যাপ্ত দক্ষ স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের ব্যবস্থা করতে খানিকটা বেশি সময় লাগবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
ইউনিসেফ কক্সবাজার জেলায় তাদের নিয়োজকৃত সকল স্বাস্থ্য কর্মীকে পিপিই সরবরাহ করেছে। এছাড়াও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে তাদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
' ইউনিসেফ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ২২৯ জন স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্য কর্মীকে কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্তের বিশেষ প্রশিক্ষণও দিয়েছে' বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিধনযজ্ঞের থেকে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে তারা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে গাদাগাদি করে বসবাস করছে। অত্যাধিক ঘনবসতি হওয়ায় সেখানে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক প্রাণহানি সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।