বিদ্রোহের ৫ দিন পরেই পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন
গত মাসে ওয়াগনার গ্রুপের ব্যর্থ বিদ্রোহের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের সাক্ষাৎ হয়েছিল বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। খবর বিবিসি'র।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, প্রিগোজিনসহ মোট ৩৫ জন ওয়াগনার কমান্ডারকে মস্কোয় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
তিনি বলেন, ওই সাক্ষাতে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনযুদ্ধ ও বিদ্রোহ নিয়ে 'মূল্যায়ন' জানিয়েছিলেন।
গত ২৩ জুন প্রিগোজিনের শুরু করা ওই বিদ্রোহ কেবল ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় এক চুক্তিতে প্রিগোজিনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন পুতিন। এছাড়া তাকে বেলারুশে চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে ওয়াগনার ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব একটি প্রকাশ্য বিষয় ছিল। ওয়াগনারকে গোলাবারুদ সরবরাহ করতে রুশ মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে বলে একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন প্রিগোজিন।
তবে সোমবার (১০ জুলাই) পেসকভ জানিয়েছেন, বিদ্রোহের পাঁচদিন পর ক্রেমলিনে আমন্ত্রণ পাওয়া ওয়াগনার কমান্ডারদের মধ্যে প্রিগোজিনও ছিলেন।
'রণক্ষেত্রে ওয়াগানের কাজ নিয়ে প্রেসিডেন্ট তার মূল্যায়ন জানিয়েছেন,' পেসকভের মন্তব্য উল্লেখ করে জানিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
পেসকভ আরও জানান, পুতিন কমান্ডারদের ব্যাখ্যা শোনেন এবং ভবিষ্যতে তাদের কর্মসংস্থান ও যুদ্ধক্ষেত্রে অবদানের বিষয়ে বিভিন্ন প্রকার সম্ভাব্যতার কথা উল্লেখ করেন।
ক্রেমলিন মুখপাত্রের দাবি অনুযায়ী, প্রিগোজিন পুতিনকে জানিয়েছেন যে তার বাহিনী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে নিঃশর্তভাবে সমর্থন করে।
প্রিগোজিনের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো কিছু জানা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রিগোজিন বেলারুশ ছেড়ে রাশিয়ায় চলে গিয়েছেন।
এদিকে রাশিয়ান সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে বিদ্রোহের পর এ প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে।
সোমবার তাকে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে ইউক্রেনের মিসাইল স্থাপনায় হামলা চালানোর নির্দেশ দিতে দেখা যায়।
এর আগে ধারণা করা হয়েছিল, জেনারেল গেরাসিমভকে বরখাস্ত করার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ওয়াগনার তাদের মস্কোমুখী মার্চ বন্ধ করেছিল।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু ও চিফ অভ দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের কড়া সমালোচক ছিলেন।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনযুদ্ধ পরিচালনার অন্যতম শীর্ষ এ দুই কর্মকর্তাকে তাদের দায়িত্বে অব্যাহত রেখেছেন।