চলে গেলেন কবি মোহাম্মদ রফিক
কবি মোহাম্মদ রফিক মারা গেছেন। রোববার বরিশাল থেকে ঢাকা ফেরার পথে তার মৃত্যু হয় বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।
মৃত্যকালে মোহাম্মদ রফিকের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। জানা গেছে, বরিশালে তিনি বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। রোববার রাতে সেখান থেকে থেকে ঢাকা ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাজৈর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কবিকে বাগেরহাটে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।একজন মননশীল আধুনিক কবি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালে, বাগেরহাটে। পেশাজীবনে কবি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
২০১০ সালের রফিক মোহাম্মদ একুশে পদকে ভূষিত হন।
কবি হিসেবে ১৯৬০-এর দশকের শুরু থেকেই পরিচিতি পেতে থাকেন রফিক মোহাম্মদ। ১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'বৈশাখী পূর্ণিমা' প্রকাশিত হয়। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ 'ধুলার সংসারে এই মাটি' প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে।
রফিক মোহাম্মদের অন্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো: কীর্তিনাশা (১৯৭৯), খোলা কবিতা ও কপিলা (১৯৮৩),গাওদিয়ায় (১৯৮৬),স্বদেশী নিশ্বাস তুমিময় (১৯৮৮), মেঘে এবং কাদায় (১৯৯১), রূপকথা কিংবদন্তি (১৯৯৮),মৎস্য গন্ধ্যা (১৯৯৯), মাতি কিসকু (২০০০), বিষখালি সন্ধ্যা (২০০৩), নির্বাচিত কবিতা (২০০৩),কালাপানি (২০০৬), নির্বাচিত কবিতা (২০০৭), নোনাঝাউ (২০০৮), দোমাটির মুখ (২০০৯), ত্রয়ী (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১ (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২ (২০১০)।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিক ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। এ ছাড়া আলাওল পুরস্কারসহ (১৯৮১) বিভিন্ন পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।