নেত্রকোনায় বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটসহ আরও ২২ জন আক্রান্ত
নেত্রকোনার জেলা জজ আদালতের একজন উর্ধতন বিচারক ও জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ আরও ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
নতুন করে আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে ১৬ জনই বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী। জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। জেলায় এ নিয়ে মোট ১৯৯ জন আক্রান্ত হলেন।
এদিকে আক্রান্ত ২২ জনের মধ্যে; জেলা জজ আদালতের একজন ঊর্ধ্বতন বিচারক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সদর উপজেলায় চারজন, কেন্দুয়া উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তা ও রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাসহ ১১ জন, মদন উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারীসহ চারজন, মোহনগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ দুইজন এবং ও পূর্বধলায় একজন মৎস্য কর্মকর্তা রয়েছেন।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে নেত্রকোনা জেলার ১৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২২ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ল্যাব থেকে প্রতিবেদন আসে।
সূত্র আরও জানায়, গত ১০ এপ্রিল জেলায় প্রথম দু'জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত এক মাস ১২ দিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯৯ জনে। এর মধ্যে সদরে ৫০ জন, কেন্দুয়ায় ৪৩ জন, মোহনগঞ্জে ২১ জন, পূর্বধলায় ২০ জন, আটপাড়ায় ১৯ জন, বারহাট্টায় ১৪ জন, মদনে ১৪ জন, দুর্গাপুরে ৮ জন, খালিয়াজুরিতে ৬ জন ও কলমাকান্দার ৪ জন রয়েছেন।
সির্ভিল সার্জন ডাঃ তাজুল ইসলাম খান বলেন, নেত্রকোনায় গত ২ এপ্রিল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সংগৃহীত নমুনার সংখ্যা দুই হাজার ৮৫৪টি। এরমধ্যে দুই হাজার ৭৮৪টির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাতে ১৯৯ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে। আজ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন এবং মারা গেছেন দুজন। নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ২২ জনকে শুক্রবার রাতেই আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।