আর্জেন্টিনার প্রাথমিক নির্বাচনে অতি-ডানপন্থী বহিরাগত হাভিয়ের মিলেইর চমকে দেওয়া জয়
অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে রোববার (১৩ আগস্ট) আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাথমিক নির্বাচন। বিস্ময়করভাবে প্রাথমিক এই ভোটাভুটিতে দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন অতি-ডানপন্থী নতুন মুখ হাভিয়ের মিলেই।
প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা যায়, উদারতাবাদী অর্থনীতিবিদ হাভিয়ের মিলেই ৩০.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, যা পূর্বানুমানের চেয়ে অনেক বেশি। অন্যদিকে, দেশটির প্রধান রক্ষণশীল বিরোধী দলীয় জোট পেয়েছে ২৮ শতাংশ এবং ক্ষমতাসীন পেরোনিস্ট জোট ২৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় এখন ১১৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি চলছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রতি ১০ জনে ৪ জনই দারিদ্র্যের মুখোমুখি। মূলত অর্থনৈতিক চাপের কারণেই লাতিন আমেরিকার এই দেশে নতুন মুখ এমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের মতে, প্রাথমিক নির্বাচনের এই ফলাফল আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের প্রতি জনগণের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি জবাব।
ফলাফলের পর মিলেই বলেন, "আমরাই আসলে সত্যিকারের বিরোধী দল। বার বার ব্যর্থ হয়েছে এমন কাউকে দিয়ে একটি ভিন্নরকমের আর্জেন্টিনা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।"
আর্জেন্টিনায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ অক্টোবর। এর আগে গতদিন হয়ে গেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের 'ড্রেস রিহার্সাল'। নির্বাচনে প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি তার পছন্দের প্রার্থীকে একটিমাত্র ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সেই ভোটাভুটির পরিপ্রেক্ষিতেই প্রার্থীদের জনপ্রিয়তার নমুনা সামনে এসেছে।
অক্টোবরের নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীই হাল ধরবেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতির। ধারণা করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন পরবর্তী দেশ পরিচালনা নীতিতে আসতে পারে বেশকিছু পরিবর্তন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে দেশটির ৪৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তির আলোচনা চলমান রয়েছে। আসন্ন নির্বাচন এসব বিষয়েও প্রভাব রাখবে বলে মনে করছেন অনেকে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত এই অর্থনৈতিক সংকটের কারণেই অনেক আর্জেন্টাইন দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। বিশেষ করে এই দলে তরুণদের সংখ্যাই বেশি; অধিকাংশ তরুণরা মিলেইকে ভোট দিয়েছেন।