সুযোগ মিসের আক্ষেপ নিয়ে শারজার কাছে হেরে বিদায় বসুন্ধরার
প্রতিপক্ষ শারজা এফসি ছিলো ঢের এগিয়ে। কিন্তু তাতেও ভয় ছিলো না বসুন্ধরা কিংসের। মাঠের খেলায় ১১ জনের সঙ্গে ১১ জনের লড়াই বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজন।
কোচের কথা মাঠে ফলানোর সুযোগও পেয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে শেষ পর্যন্ত হারের হতাশা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে তাদের। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাক বাছাইপর্ব থেকেই বিদায় নিলো অস্কার ব্রুজনের দল।
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো প্রাক বাছাইয়ে খেলার অভিজ্ঞতা হার দিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশের লিগে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরার। ব্রাজিলিয়ান লুয়ানজিনহোর জোড়া গোলে আমিরাত প্রো-লিগের দল শারজার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে অস্কার ব্রুজনের দল।
শারজা এফসিতে ছিলেন মিরালেম পিয়ানিচ ও পাকো আলকাসারের মতো তারকারা। এই দুজনই একসময় খেলেছেন বার্সেলোনার হয়ে। সেই তারকাদের সঙ্গে প্রথমার্ধে বেশ ভালোই টক্কর দিচ্ছিল বসুন্ধরা।
তবে এই অর্ধের অতিরিক্ত সময়ে আর ঠেকিয়ে রাখা যায়নি শারজাকে। ব্রাজিলিয়ান কাইয়োর থ্রু বল ধরে ডান প্রান্ত থেকে পিয়ানিচের কাটব্যাক লুয়ানজিনহোর প্লেসিং আটকানোর কোনো সুযোগই পাননি জিকো।
সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বসুন্ধরা। ৫২ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে মিগেলের ক্রসে বক্সের মুখে বল পান দরিয়েলতন। মার্কিংয়ে থাকা শারজা ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেওয়া দরিয়েলতনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান শারজা গোলরক্ষক।
ম্যাচে বসুন্ধরার ফেরা আশা শেষ হয়ে যায় ৭২ মিনিটে। শারজার আবদেল আজিজ সেলিমের ক্রস থেকে যেই হেডটা করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুয়ানজিনহো তা ঠেকানোর সুযোগ ছিলো না জিকোর।