লাদাখ সীমান্তে চীনের সেনা সমাবেশ, উদ্বিগ্ন ভারত
জিডিপি-র আয়তন এবং বৃহৎ প্রতিরক্ষা শক্তির কারণে চীনের সঙ্গে হাতির তুলনা করে থাকেন ভারতীয় কূটনীতিবিদেরা। সেই সঙ্গে হাতির স্মরণশক্তির সঙ্গেও তুলনা করা হয় চীনা নেতৃত্বের। সম্প্রতি লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বেজিং যে ভাবে রণমূর্তি ধারণ করছে তার পিছনেও রয়েছে পুরনো প্রসঙ্গ ভুলতে না পারা ও নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের প্রয়াস—এমনটাই মনে করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞেরা।
পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ক্রমশ বাড়ছে ভারতীয় এবং চীনা সেনা সমাবেশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছর আগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরই আকসাই চীন সম্পর্কে প্রথম বিপদসঙ্কেত পেয়েছিল বেজিং, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যে। তখন থেকেই নিজেদের ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছিল তারা। মাঝে কোভিড নিয়ে নজর কিছুটা ঘুরলেও কালক্রমে তা সামলে নিয়ে আবার সীমান্তে প্রস্তুত করা হচ্ছে চীনা সেনাবাহিনী- পিএলএ'কে। খবর আনন্দবাজারের।
গতবছর আগস্টে কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্তের পরেই সংসদে অমিত শাহ পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার ব্যাপারে চড়া সুরে বলেন, 'পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও আকসাই চীনও ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।'
এর ঠিক পরেই এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছিলেন, 'ভারত-চীন সীমান্তের পশ্চিম দিকে থাকা চীনা ভূখণ্ডের ভারতভুক্তি নিয়ে সবসময় প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে চীন। সম্প্রতি অন্তর্দেশীয় আইন সংশোধন করে ভারত চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব খাটো করার ক্রমাগত চেষ্টা করছে। যেটা মেনে নেওয়া যায় না। এই চেষ্টা কোনও দিনই সফল হবে না।'
গত কয়েক মাসে একাধিকবার ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল চীনা নেতৃত্বকে বুঝিয়ে এসেছেন যে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ মামলা। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে স্পষ্ট, কূটনৈতিক দূতালিতে চীন আশ্বস্ত হতে পারেনি।