প্রচণ্ড গরমে বেঁকে যাচ্ছে রেলপথ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ায় (বাকলিং) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর এলাকায় রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিলেটগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ২০ মিনিট আটকা ছিল।
গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড খরতাপের কারণে রেলপথ বাঁকা হওয়ার আশঙ্কায় আখাউড়া-সিলেট রেলপথের মৌলভীবাজারের টিলাগাও ও মনু রেল স্টেশন এলাকায় গ্যাংম্যানরা রেলপথে পানি দিয়ে আসছেন। রেলপথ ঠান্ডা করে দিনের বেলা ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চলাচল করানো হচ্ছে। ফলে দিনের বেলায় সিলেট পথে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে মৌলভীবাজার জেলার উপর প্রচণ্ড খরতাপ চলছে। এ খরতাপের মাঝে রেলপথ ঠান্ডা না রাখলে রেলপথ বাঁকা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে দিনের বেলা সিলেট পথে চলাচলকারী ট্রেন স্বাভাবিক সময়ে চলাচল করছে না। এ পথ চলাচলকারী আন্তনগর ট্রেনগুলোকে মাঝপথে বসিয়ে রাখতে হয়।
রোববার সিলেট অভিমুখী আন্তঃগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ও সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নুজহাত রহমান মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, ট্রেনটি বেলা আড়াইটায় শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর মনু রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রবেশের আগে মাঝপথে ট্রেনটি থামানো হয়। ২০ মিনিট পর আবারও ট্রেন সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় গত দুই দিন ধরে ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে।
শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার উত্তম দেব এ অবস্থার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'দিনের বেলায় খরতাপে রেলপথ বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথ এলাকায় পানি ঢেলে রেলপথ ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে। এ কারণে ট্রেনসমূহ মাঝপথে থামতে হচ্ছে। পরে খুবই ধীরগতিতে ট্রেন চলছে। রাতের বেলা আবার ট্রেনসমূহ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।'