লকডাউনের মধ্যেই লাদাখ সীমান্তে গভীর রাতে হাজার হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে ভারত
বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের আতঙ্কে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে লাদাখে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই ধীরে ধীরে সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনা। প্রায় প্রতিদিনই গালওয়ান উপত্যকায় কাশ্মীর থেকে লাদাখে আসছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে এমন খবরই জানা গেল।
চীনের পিপল্স লিবারেশন আর্মির ওপর চাপ তৈরি করতেই ভারতীয় সেনা এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই কাশ্মীর থেকে সেনা জওয়ানদের সরিয়ে লাদাখের চিন সীমান্তে নিয়ে আসা হচ্ছে।' বর্তমান পরিস্থিতি বলতে তিনি যে চীন আর ভারতের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের কথা বলছেন, সেটা স্পষ্ট।
তিনি জানিয়েছেন, স্পষ্ট করে সংখ্যাটা সরকারি হিসাবে না বললেও সেনারা নিজের মতো করে তার রসদ মজুত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। আর এতে কাশ্মীরের শান্তি রক্ষায় কোনও অসুবিধাই হবে না বলে মনে করছেন তিনি।
দারবুক নামে একটি গ্রাম, ভারত চীন সীমান্তের কাছেই। সেই গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিদিন রাতে ৮০–৯০ টি ট্রাক এই এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে সেনা কনভয় রয়েছে, এছাড়া এমনি গাড়ি যার কোনওটাতে রয়েছে সেনা জওয়ানরা, কোনওটাতে রয়েছে অস্ত্র ও অন্য রসদ।
এদিকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএল নরসিমা জানিয়েছে, 'এদের মধ্যে কয়েকটি গাড়ি হয়ত যাচ্ছে শীতের রসদ মজুত করার জন্য। সাধারণত, শীতে যে রাস্তা বন্ধ থাকে, গরমে বরফ গলে গেলে সে রাস্তা খুলে যায়, তাই সেখান দিয়ে প্রতিবছর শীতের রসদ আগে থেকে মজুত করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বছরের এই সময়টাতেই এই কাজ করা হয়। সেটাই হচ্ছে এখন।'
এই সপ্তাহেই ভারতীয় সেনা আবারও চীনা বাহিনীর সঙ্গে শান্তি আলোচনার একটি চেষ্টা করেছে। গত মে মাসের ২২–২৩ তারিখে মেজর জেনারেল স্তরের একটি শান্তি বৈঠক পরিকল্পনা করা হলেও তাতে শেষ পর্যন্ত লাভ হয়নি। ওদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, চীনা সেনা টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক, জি-২০ হেলিকপ্টার, জিজে ড্রোন সীমান্তে মজুত করে রেখেছে। তারাও একইভাবে ভারতীয় সেনার ওপর চাপ তৈরি করতে সীমান্তে শক্তিবৃদ্ধি করেছে