ছানিজনিত অন্ধত্ব কমলেও বাড়ছে ড্রাই আই, ডায়বেটিসজনিত চোখের সমস্যা
বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার কমেছে। তবে দৃষ্টি সমস্যায় পরিবর্তন এসেছে। দেশে ছানি অপারেশন বেড়ে যাওয়ায় ছানিজনিত অন্ধত্ব কমছে, গ্লুকোমা ও রেটিনাজনিত সমস্যাও কমছে। তবে পরিবেশগত সমস্যার কারণে ড্রাই আই বাড়ছে; সেই সঙ্গে বাড়ছে কর্নিয়ার সমস্যা। ডায়বেটিস রোগী বেড়ে যাওয়ায় ডায়বেটিসজনিত চোখের সমস্যাও বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এক সেমিনারে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উদযাপন করা হয়। এ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো অন্ধত্ব, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ও চোখের যত্নের বিষয়ে বৈশ্বিক জনগোষ্ঠীকে সচেতন করে তোলা।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেটিনা বিভাগের প্রধান এবং বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. দীপক কুমার নাগ বলেন, "একসময় এ দেশে অন্ধত্বের হার ছিল ১.৪৫%। কিন্তু সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, এ হার কমে ০.৬৯% এ নেমে এসেছে। সে হিসেবে বর্তমানে দেশে জনসংখ্যার ১২ লাখ মানুষ অন্ধ। অন্যদিকে, ৩.৫১ লাখ মানুষ ক্ষীণদৃষ্টির শিকার।"
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পেডিয়াট্রিক অপথালমোলজি ডিপার্টমেন্টের ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডায়াবেটিসজনিত চোখে সমস্যা এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা বলেন, প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি রোগী চোখের বিভিন্ন সমস্যায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নেয়। ছোটবেলা থেকে স্মার্টফোন ও ট্যাবে ভিডিও গেমসের আসক্তি থেকে শিশুদের চোখের বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা বাড়ছে বলেও জানান তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ার কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, জনগণের চক্ষু রোগের চিকিৎসা এবং এক্ষেত্রে সেবার দুর্ভোগ কমানোর জন্য ন্যাশনাল আই কেয়ার এ পর্যন্ত উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ২০০টি কমিউনিটি আই কেয়ার সেন্টার স্থাপন করে চক্ষু সেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে চক্ষু সেবার কাজে নিয়োজিত ১০টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু সেবাকে পৌঁছে দিচ্ছে।