বাংলাদেশে কোবে বিফ এনে প্রক্রিয়াজাত করতে চায় জাপান
বাংলাদেশে কোবে বিফ প্রক্রিয়াজাত করতে কারখানা স্থাপন করতে চায় জাপান। জাপান থেকে মাংস এনে বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাতকরণ করবে জাপানি প্রতিষ্ঠান।
যেসব খাবারের জন্য জাপান সুপ্রসিদ্ধ, তার মধ্যে অন্যতম হলো জাপানিজ কোবে বিফ। এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান গরুর মাংস বলা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কনফারেন্স হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের বিষয় তুলে ধরেন জাপানের এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি। বৈঠকে জাপানের ৩২টির প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস গ্রুপ এস ফুডস ইনকর্পোরেশনের কর্পোরেট অফিসার এবং জেনারেল ম্যানেজার শিনিচি মিয়াওয়াকি বলেন, "বাংলাদেশে কোবে বিফ প্রসেস করার ফ্যাক্টরি করতে চাই আমরা। আমরা জাপান থেকে গরুর মাংস নিয়ে আসবো, এরপর এখানে প্রসেস করবো।"
সালমান এফ রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে জাপানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি শিনিচি মিয়াওয়াকি বলেন, "আমরা হালাল উপায়ে এটি তৈরী করবো।"
এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, "দেশের পাঁচ তারকা হোটেল আছে, বিদেশি যারা বাংলাদেশে আছে, পর্যটক যারা আছে তাদের জন্য কোবে বিফের চাহিদা থাকবে।"
বাংলাদেশ উন্নয়ন সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ নেওয়াজ জাপানের প্রতিনিধি দলের সমন্বয় করেন। তিনি বলেন, "কোবে বিফ বিশ্বের এক নাম্বার ব্র্যান্ড। জাপানের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান এস ফুডস কোবে বিফ নিয়ে আসছে। এটা খুবই সুস্বাদু মাংস। তারা দুবাইতে হালাল উপায়ে রপ্তানি করেন। এখন তারা হালালভাবে বাংলাদেশে প্রসেসড করতে চাচ্ছেন।"
জাপানের প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং ফুট স্টুল লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা হায়াশি নোবুয়া বলেন, মানিকগঞ্জ ইকোনমিক জোন, রিভার ট্যুরিজম, লক্ষ্মীপুর স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ইকোনমিক জোন, ব্লু ইকোনমি ও ভোলা গ্যাস ফিল্ডে বিনিয়োগ করতে চন তারা; এবং তারা সরকারের সহোযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
সালমান এফ রহমান প্রতিনিধি দলকে বলেন, "আপনারা প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে আসেন। আমরা আপনাদের সব রকম সহায়তা করবো। জাপান ও বাংলাদেশের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। জাইকা অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ করছে। অনেকগুলো মেগা প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করেছে। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল ও নিবিড়। আপনারা এসেছেন এর ফলে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।"
প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, "আমি দেখছি বিনিয়োগ প্রবাহ ভালো আসছে। অর্থনীতিতে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতি খুবই শক্তিশালী, যে কথাটা আইএমএফও কিছুদিন আগে বলেছে।"
তিনি বলেন, "এটা কিন্তু স্বাভাবিক, নির্বাচনের আগে সব কিছু একটু ধীর হবে। তারা (বিনিয়োগকারীরা) দেখতে চাইবে নির্বাচনটা হয়ে যাক। নতুন সরকার আসুক, নতুন সরকারে কারা আসছেন সেসব দেখেই হবে। আমি মনে করি আগামী ২-৩ মাস নতুন এফডিআই কিছুটা মন্থর হবে। যে এফডিআই ইতিমধ্যে চলে এসেছে, যারা বিনিয়োগ করেছেন,তারা নিয়ম অনুযায়ী কাজ করবেন। ব্যবসা তো বন্ধ হয় না। ওইটা নিয়ে আমি চিন্তিত না।"