সাতক্ষীরায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে তামিম
আম্পানের আঘাতে বিধ্বস্ত সাতক্ষীরার উপকূলে সুপেয় খাবার পানি সরবরাহের জন্য পানির ট্যাংক দিয়েছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সেই পানির ট্যাংকে করে উপকূলীয় মানুষদের মাঝে পানি সরবরাহ করছে স্বেচ্ছাসেবক দল সিডিও ইয়ুথ টিম।
শ্যামনগর উপজেলা সিডিও ইয়ুথ টিমের পরিচালক গাজী আল ইমরান জানান, তামিম ইকবাল শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা ঢাকাস্থ এক সাংবাদিকের মাধ্যমে পাঁচটি পানির ট্যাংক পাঠিয়েছেন। সেই ট্যাংকে করে উপকূলীয় বুড়িগোয়ালীনি ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সুপেয় খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলে দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট।
তিনি জানান, তামিম ইকবাল পাঁচটি, বারসিক এনজিও চারটি পানির ট্যাংক দিয়েছে। সেগুলোতে প্রতিদিন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা ১২-১৪ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করছে উপকূলীয় বাসিন্দাদের। বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের ভামিয়া, পুরাকাটলা, দিপায়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাসুদ মোড়, দূর্গাবাটি, কলবাড়ি ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নে প্রতিদিন ১২-১৪ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
পানি ক্রয় ও পরিবরহন খরচ দিচ্ছে বেসরকারি সংস্থা বারসিক। সিডিও ইয়ুথ টিমের ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও পানি সরবরাহ করছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালক গাজী আল ইমরান বলেন, 'উপকূলে খাবার পানির তীব্র সংকট। এর স্থায়ী সমাধান দরকার। স্থায়ী সমাধান করতে মিষ্টি পানির পুকুর খনন, মেশিন স্থাপন ও বৃষ্টির পানি মজুদ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই একের পর এক দূর্যোগে বিধ্বস্ত শ্যামনগর উপকূলে পানির সমস্যার সমাধান হবে। এ ছাড়া সমাধান হবে না।'
যদিও ভিন্ন কথা বলেছেন সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আরশাদ আলী। তিনি বলেন, 'আম্পান ঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় যে পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি ইতোমধ্যে নিরসন করা হয়েছে। বর্তমানে উপকূলে খাবার পানির কোনো সংকট নেই। বর্তমানে যারা পানি সরবরাহ করছেন, এমন সমস্যা সারা বছরই থাকবে। মানুষের চাহিদার শেষ নেই।'
তামিম ইকবাল তার ভেরিফাইভ ফেসবুকে সাতক্ষীরা উপকূলে খাবার পানির সংকট তুলে ধরে পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।