সুশান্তের শেষ কয়েক ঘণ্টা
রোববার বলিউডের তারকা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত মৃতদেহ ভারতের মুম্বাইয়ের নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। 'এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি'খ্যাত এই তারকার অকাল মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে বলিউডসহ বিনোদন দুনিয়ায়।
কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া না গেলেও তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।
মৃত্যুর রহস্য এখনো পুরোপুরি উদ্ঘাটিত না হলেও জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই বিষণ্নতায় ভুগছিলেন এই তারকা অভিনেতা। তার ফ্ল্যাট থেকে এ সংক্রান্ত বেশকিছু ওষুধও উদ্ধার করা হয়েছে।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রার জোগার্স পার্কের মাউন্ট ব্ল্যাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন তিনি। দোতলা সেই অ্যাপার্টমেন্টে দুজন কুক ও একজন পরিচারক ছিলেন তার গৃহসঙ্গী। রোববার রাত থেকেই অ্যাপার্টমেন্টটিতে ছিলেন তার এক বন্ধুও, এমন গুঞ্জন ভাসছে।
কেমন ছিল তার জীবনের শেষ কয়েকটি ঘণ্টা? চলুন জানা যাক হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্র ধরে।
- সকাল ৬.৩০টা: সুশান্ত সিং রাজপুত ঘুম থেকে উঠেন।
- সকাল ৯টা: ফোনে বড় বোনের সঙ্গে কথা হয় তার। খুব অল্প সময়ই কথা বলেছিলেন তিনি।
- সকাল ১০টা: প্রতিদিনের মতো ডালিমের জুসের গ্লাস পরিচারকের কাছ থেকে নেন সুশান্ত। তারপর অভ্যাসমতো নিজের ঘরে গিয়ে বন্ধ করে দেন দরজা।
- সকাল ১০.৩০টা: সুশান্তের কাছে তার কুক জানতে গিয়েছিলেন, দুপুরে কী রান্না হবে। দরজা ধাক্কা দিলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
- বেলা ১২.০০: দ্বিতীয়বার সুশান্তের দরজার কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করেন কুক; কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি এবারও। তাই কুক খানিকটা ঘাবড়ে যান।
- দুপুর ১২.৩০: সুশান্তের বড় বোনকে ফোন করে সবকিছু জানান পরিচারক। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে।
- দুপুর ১.১৫: স্থানীয় এক চাবিওয়ালাকে এনে দরজার লক ভাঙা হয়। তখনই দেখা যায়, সুশান্তের মৃতদেহ ঝুলছে। সুশান্তের বড় বোন মিতু সিংও ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
জানা গেছে, শনিবার মাঝরাতের পর 'পবিত্র রিশতা' টিমের এক সহকর্মী ও কাছের বন্ধুকে ফোন করেছিলেন সুশান্ত; তবে ফোনে কথা হয়নি তাদের। বলে রাখা ভালো, এই টিভি সিরিয়াল দিয়েই অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল সুশান্তের।
এদিকে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, 'ঝুলে পড়ার' কারণেই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। তার বেশ কিছু অঙ্গের নমুনা পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবে। তার শরীরের কোনো অঙ্গে বিষ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।