প্রতীক পাওয়ার পরদিন প্রার্থীর মৃত্যু: নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক নির্বাচনের আটদিন আগে মারা যাওয়ায় ওই আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বৈঠকসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে এদিন ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমিনুল হকের মৃত্যু হয়।
বৈঠকশেষে ইসি'র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, 'নওগাঁ-২ আসনের প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় আরপিও ১৭ অনুসারে নওগাঁর রিটার্নিং অফিসার সেখানকার নির্বাচন স্থগিত করবেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনঃ তফসিল হবে।'
পুনঃতফসিলের পর পুরোনো প্রার্থীদের সঙ্গে নতুন প্রার্থী যোগ হতে পারেন বলে জানান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের জন্য আমিনুল হক দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গগতি তুলে ধরে তার প্রার্থীতা বাতিল করেন।
পরবর্তীসময়ে আমিনুল হক প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বুধবার তার প্রার্থীতা বৈধ বলে রায় দেন। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরদিনই তার মৃত্যু হলো।
আমিনুল হকের ছেলে আছিফুল হক বলেন, 'আমিনুল হক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে সোমবার ঢাকায় যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।'
আমিনুল হক ২০০৬ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিকবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নওগাঁ-২ আসন আমিনুল হক ছাড়াও আরও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুল ইসলাম।