নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী
পঞ্চম মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া শেখ হাসিনার নবগঠিত মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী হয়েছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে ৭৬ বয়সি প্রধানমন্ত্রী ও তার নতুন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
নতুন মন্ত্রীসভায় ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।
গত পাঁচ বছর আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া ২০০৮ সালে দিনাজপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০১৪–২০১৮ মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারের হয়ে বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক মিশনেও তিনি সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৪৩ সালে দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (১৯৬২) ও স্নাতকোত্তর (১৯৬৩) পর্যায়ে পড়াশোনা করেন তিনি।
এরপর ১৯৬৪ সাল থেকে '৬৬ পর্যন্ত একই বিশ্বিবদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে পড়ান তিনি। তারপর ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিস (পিএফএস)-এ যোগ দেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে নানা সরকারি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন মাহমুদ আলী। ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন মিশনেও দায়িত্ব পালন করেন এ কূটনীতিক। এর মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্ক, নয়াদিল্লি, বেইজিংয়ের মতো বড় শহর।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভুটান (১৯৮৬–১৯৯০) ও জার্মানিতে (১৯৯২–১৯৯৫) বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে (১৯৯৬–২০০১) হাইকমিশনারও ছিলেন।
অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপাক্ষিক) হিসেবে ভারতের সঙ্গে তিন বিঘা করিডোর ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্টের (১৯৯২) আলোচনা ও স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। ১৯৭১ সালে কূটনৈতিক মঞ্চে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি।
২০০১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও সরকারসংশ্লিষ্ট কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ব্যক্তিজীবনে বই পড়তে পছন্দ করেন এ রাজনীতিবিদ, উপভোগ করেন সংগীতও। টেনিসের প্রতিও তার দুর্বলতা রয়েছে।