বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।'
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে বিজিপির আরও ৩৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের সূত্র দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জানায়, এপর্যন্ত মিয়ানমারের ১০৬ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
তাঁদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হাছান বলেন, 'আকাশপথে নাকি সড়ক পথে তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন, মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এর আগে ভারতীয় ভূখণ্ডেও ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আমরাও তাদের ফেরত পাঠাব।'
সীমান্ত সুরক্ষা ও এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে। তারা (মিয়ানমার সরকার) তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ফলে তৃতীয় পক্ষ ডাকার সুযোগ নেই।'