তামিমদের হারিয়ে শক্ত অবস্থানে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
লক্ষ্য বড় ছিল না, অধিনায়ক তামিম ইকবাল এগিয়ে দিলেন অনেকটা পথ। কিন্তু বলার মতো রান কেবল তিনিই করতে পেরেছেন, বাকিদের মধ্যে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের লড়াই কাজে আসেনি ফরচুন বরিশালের। দীর্ঘ নয় মাস পরে মাঠে ফেরা এই অলরাউন্ডারের রান কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। সহজ লক্ষ্য কঠিন করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে হেরেছে তামিম ইকবালের দল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশালকে ১৬ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। সাত ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে দলটি। সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে শীর্ষে রংপুর রাইডার্স। আজকের হারে প্লে-অফের পথ কঠিন হলো বরিশালের জন্য। সাত ম্যাচে ৩ জয়ে তালিকার পাঁচ নম্বর দল তারা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা চট্টগ্রামও ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। সাইফউদ্দিন, আব্বাস আফ্রিদি, তাইজুল ইসলামদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাঁচ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে তারা। জবাবে তামিমের পঞ্চাশ ছুইঁছুঁই ও সাইফউদ্দিনের ত্রিরিশোর্ধ্বে ইনিংসের পরও ৮ উইকেটে ১২৯ রানে শেষ হয় বরিশালের ইনিংস। দুর্বার বোলিংয়ে বরিশালকে সবচেয়ে বেশি ভোগান চট্টগ্রামের শহিদুল ইসলাম, দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ডানহাতি এই পেসার।
ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ১৫তম ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন তামিম। কিন্তু তার সঙ্গে কেউ-ই জুটি গড়ে তুলতে পারেননি। অন্য প্রান্তের ভাঙনে দাপুটে ব্যাটিং করা হয়নি তামিমের। রয়েসয়ে খেলা বাঁহাতি এই ওপেনার ৪৬ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রান করেন। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী আহমেদ শেহজাদ করেন ১৬ রান।
সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ রানের খাতা খুলতে পারেননি। মুশফিকুর রহিম আউট হন ৯ রান করে। মাঝে শোয়েব মালিক ১২ বলে ১৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত লড়াই করা সাইফউদ্দিন ১৮ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রান করেন। শহিদুল ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ১৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট পান আল-আমিন হোসেন। একটি করে উইকেট শিকার করেন বিলাল খান, সৈকত আলী ও নিহাদুজ্জামান।
এর আগে চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন টম ব্রুস। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান ৪০ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫০ রান করেন। জস ব্রাউন ঝড়ো গতিতে ২৩ বলে একটি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৮ রান করেন। এ ছাড়া তানজিদ হাসান ১০, শাহাদাত হোসেন ১৫ ও সৈকত আলী ১১ রান করেন। বরিশালের মোহাম্মদ ইমরান ২টি উইকেট পান। ব্যাট হাতে দাপট দেখানো সাইফউদ্দিন একটি উইকেট নেন। আব্বাস ও তাইজুলের শিকারও একটি উইকেট।