থুসারার হ্যাটট্রিকের পর রিশাদের লড়াই, সিরিজ হার বাংলাদেশের
সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশের। নুয়ান থুসারার বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না শান্ত, সৌম্য, মাহমুদউল্লাহরা। ২৮ রানে ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৫ রানে চার উইকেট ও ৩২ রানে ছয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে পরপর তিন বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত, তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন শ্রীলঙ্কা পেসার নুয়ান থুসারা।
এই ডানহাতি বোলার নিজের পরের ওভারেই সাজঘরের পথ দেখান সৌম্য সরকারকে। লিটন দাসের আউট হওয়া মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আসা-যাওয়ার মিছিল নিয়মিত বিরতিতে চলেছে জাকেরের আউট হওয়া পর্যন্ত। ৩২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছিল বড় পরাজয়।
সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন রিশাদ হোসেন। প্রথমে মেহেদি হাসানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন তিনি, এরপর তাসকিনকে নিয়ে আরো ৪১ রান যোগ করেন এই লেগ স্পিনার। রিশাদ এর মধ্যে তুলে নেন নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি। ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পথে এই ডানহাতি একটি চারও মারেননি, সাতটি ছক্কাই মেরেছেন কেবল।
তাসকিন আহমেদের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৩১ রান, তিনটি চার ও দুটি ছয় মেরেছেন এই বাঁহাতি। শ্রীলঙ্কার পঞ্চম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করা থুসারা শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ২০ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৫ রান। টস হেরে আগে ব্যাট করে সাত উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল দুই দলের সামনেই।
প্রথম দুই ম্যাচেই আগে ফিল্ডিং করা বাংলাদেশ এই ম্যাচেও একই কাজ করেছে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬৬ রান তাড়া করে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ সিরিজ জিততে সেই ম্যাচের চেয়ে ১০ রান বেশি তাড়া করতে হতো নাজমুল হাসান শান্তর দলকে।
আগে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন কুশল মেন্ডিস। এই মেন্ডিসই প্রথম ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও দুর্দান্ত ব্যাট করেছিলেন। এই ম্যাচেও জ্বলে উঠেছেন লঙ্কান উইকেটরক্ষক। ৫৫ বলের ইনিংসে ছয়টি করে চার ও ছয় মেরেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে আর কেউই বড় অবদান রাখতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান এসেছে দাসুন শানাকার ব্যাট থেকে। ১৫ রান করেছেন আগের দুই ম্যাচ না খেলা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন ২৫ রান দিয়ে দুটি ও রিশাদ ৩৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন। ২৮ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেছেন শরিফুল ইসলাম। চার ওভার বল করা মুস্তাফিজ একটি উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৪৭।