ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন 'সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যেহেতু বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র, তাই আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি।
আজ শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনে ওয়াইএনটি সেন্টারে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা উল্লেখ করেন, 'ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে'। এ বিষয়ে তাঁরা বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ভারত তার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির বিরোধী দল ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এর তীব্র সমালোচনা করেছে। এর আগে ২০১৯ সালে ভারতের পার্লামেন্ট পাস হয় এ আইন, তবে সাম্প্রতিক সময়ের আগে তা কার্যকর করা হয়নি।
এই আইনের আওতায়, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্শি এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা এখন ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে এই তিনটি দেশের মুসলিমদের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দপ্তর আবারও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড.হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো দপ্তর তাদের মতামত দিতেই পারে। তারা বলেছে, বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এবং কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ করা না করা, সেটি সরকারের ওপর বর্তায় না, সেটি সেই দলের দায়িত্ব।
"দলটি বরং নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল, সেই লক্ষ্যে দেশে সহিংসতা ঘটিয়েছিল এবং সেই সহিংসতার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদেরকেই শুধু গ্রেপ্তার করা হয়েছে" বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার জন্য এবং আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক, সেটিকে আরো বিস্তৃত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে আমরা আলোচনা করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। পৃথিবীর প্রায় ৮০টি দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সম্পর্ক উন্নয়নের ইচ্ছেপোষণ করেছেন।