সাউদাম্পটনে ক্যারিবীয় শাসন
বল হাতে শাসনের পর ব্যাট হাতেও ছন্দময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেখা দেখা মিলল। সাউদাম্পটনের রোজ বলে ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানে অলআউট করা ক্যারিবীয়রা স্কোরকার্ডে ৩১৮ রান যোগ করেছে। প্রথম ইনিংসেই ১১৪ রানের লিড পেয়ে গেছে জেসন হোল্ডারের দল।
১১৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা স্বাগতিক ইংল্যান্ড ১৫ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। দুই ওপেনার রোরি বার্নস ১০ ও ডম সিবলে ৫ রানে অপরাজিত আছেন। ক্যারিবীয়দের চেয়ে ৯৯ রানে পিছিয়ে আছে ইংল্যান্ড।
প্রথম দিন বৃষ্টির দাপটে খেলা হয় মাত্র ১৭.৪ ওভার। দ্বিতীয় দিনও সাদাম্পটনের আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। তৃতীয় দিনে সূর্যের দেখা মেলে। এদিন হেসেছে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাটও। রান পাহাড় গড়তে না পারলেও প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিয়ে স্বস্তির নিশ্বাসই ফেলেছে ক্যারিবিয়ানরা।
স্কোরকার্ডে তিনশোর বেশি রান যোগ করলেও উইন্ডিজের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ৪৩ রানে ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ফিরে যান। ক্যাম্পবেলের বিদায়ের পর শেই হোপকে নিয়ে আরও কিছুটা পথ পাড়ি দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করা ক্রেইগ ব্রাথওয়েট।
দলীয় ১০০ পেরনোর পর আউট হন ১৮ রান করা শেই হোপ। এরপর ব্রাথওয়েটের সঙ্গে যোগ দেন শামার ব্রুকস। এই জুটিকে বেশ সাবলীল মনে হচ্ছিল। কিন্তু ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের বাধায় জুটিটা বড় হয়নি। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করার পর বল হাতেও আলো কাড়া স্টোকস ফিরিয়ে দেন ব্রাথওয়েটকে।
ব্রুকসও তার ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৯ রান করে থামেন তিনি। এরপর উইন্ডিজের ইনিংস বড় করেন রস্টন চেজ ও শেন ডাউরিস। চেজ ৪৭ ও ডাউরিচ ৬১ রান করেন। শেষের দিকে আলজারি জোসেফের ১৮ রানও খুব কার্যকর ছিল ক্যারিবীয়দের জন্য।
ব্যাট হাতে দলকে পথ দেখানোর পর বল হাতেও বড় দায়িত্ব পালন করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। ৪৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অভিজ্ঞ ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন ৩টি, টম বেস ২টি ও মার্ক উড একটি উইকেট পেয়েছেন।