প্রীতি উড়াংয়ের মৃত্যু: ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক ও তার স্ত্রীর জামিন নামঞ্জুর
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যেকোনো শর্তে জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী ও আশারাফ-উল আলম।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মহানগর দায়রা জজ আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হবে।
এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়াররি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহকর্মী প্রীতি উড়াংকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান বাসার কেয়ারটেকার। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এই ঘটনায় নিহত প্রীতি উড়াংয়ের বাবা লোকেশ উড়াং বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অবহেলা জনিত মৃত্যুর অভিযোগে দণ্ডবিধি আইনের ৩০৪(ক) ধরায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ মামলায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অন্যদিকে, আসামিদের পক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রিমান্ড ও জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।