উমর আকমলের যন্ত্রণার অপেক্ষা
দুর্নীতি দমন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন উমর আকমল। শুরুতে অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে না যাওয়ায় পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের শাস্তি কম হয়েছে বলে তখন জানানো হয়েছিল। আইনি লড়াইয়ে গেলে আরও বড় শাস্তি হতে পারতো। কিন্তু এসব জেনেও নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেন উমর আকমল।
তার আপিলের শুনানি হয়ে গেছে। শুনানি হয়ে গেলেও উমর আকমলের অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না। এখনও রায় ঘোষণা করা হয়নি। রায় জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বিভিন্ন বিতর্কে নিজের নাম জড়িয়ে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারকে।
উমর আকমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরুর আগে দুবার স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও পিসিবিকে কিছু জানাননি তিনি। তার বিরুদ্ধে তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগও আনা হয়। এ কারণে গত ২০ মার্চ আকমলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ তোলে পিসিবি।
এর আগে থেকেই (২০ ফেব্রুয়ারি) সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন আকমল। দুর্নীতি দমন ধারা ভঙ্গের কারণে আকমল আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তবে গত ২৭ এপ্রিল পিসিবি তিন বছরের জন্য আকমলকে সিব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে।
উমর আকমলের বিচারের বিষয়টি নিরপেক্ষ বিচারক প্যানেল নিয়োগ করে পরিচালনা করছে পিসিবি। এক বিবৃতিতে পিসিবি বলেছে, 'সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ফকির মুহাম্মাদ খোখার দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ বিচারক হিসেবে নিজস্ব ক্ষমতা বলে তিনি রায় ঘোষণার জন্য সময় নিয়েছেন।'
পাকিস্তানের হয়ে ১৬ টেস্ট, ১২১ ওয়ানডে ও ৮৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আকমল। তিন ফরম্যাটে ৫ হাজারেরও বেশি রান করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে দুটি ও টেস্টে একটি সেঞ্চুরি করেছেন আকমল। গত ২৬ মে ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারের। এই বয়সে তিন বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা যে আকমলের ক্যারিয়ারের সামনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসিয়ে দিয়েছে, সেটা বলাই বাহুল্য।