বাংলাদেশে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চালাবে চীন!
বাংলাদেশে চীনে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার কথা সরকারি সূত্রে জানানো হলেও, এবার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষাও এদেশে চালানোর পরীক্ষা করছে বেইজিং। ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে সম্প্রতি।
গণমাধ্যমটির দাবি, চীনের সুপরিচিত দুটি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি সাইনোফার্ম এবং ন্যাশনাল বায়োটেক দেশটির সরকারের সাহায্যে তৃতীয় পর্যায়ে মোট ৪০ হাজার ব্যক্তির দেহে তাদের উৎপাদিত প্রতিষেধক পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির প্রভাব খাটিয়ে এই পরীক্ষা বাংলাদেশেই করা হবে। অজ্ঞাত এক সূত্রের বরাতে এমন দাবি করে প্রতিবেদনটি।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করে ভ্যাকসিনের সুরক্ষা পরীক্ষা করতে চাইছে চীন। দীর্ঘকাল ধরে পশ্চিমা ওষুধ প্রস্তুতকারকেরা তৃতীয় বিশ্বকে পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করে আসলেও, এবার সেই দৌড়ে যোগ দিয়েছে চীন। যার ফলে বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য বিপন্ন হবে।
ইকোনমিক টাইমস গত ২৭ জুন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের একটি ঘোষণা উল্লেখ করে। এদিন সাংবাদিকদের চীনে তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা বাংলাদেশে করা হবে, এমন কথা জানিয়েছিলেন ডা. আজাদ।
অজ্ঞাত আরেক সূত্রে ভারতীয় পত্রিকাটি চীনের কিছু গোপনীয় পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছে বলেও উল্লেখ করে।
এর মধ্যে অন্যতম হলো; কোভিড মহামারির সুযোগ নিয়ে বেইজিং নাকি বাণিজ্য এবং ওষুধ খাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।
বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৮টি ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণা চলছে। এরমধ্যে চীনেই সাতটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন গবেষণা চলছে, বলে ইতোপূর্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে জানানো হয়।