এশিয়া, ইউরোপে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও জোরদার করবে রাশিয়া ও চীন
ইউরেশিয়ায় (এশিয়া ও ইউরোপ) মার্কিন আধিপত্য ঠেকাতে রাশিয়া ও চীন এ অঞ্চলে তাদের নিরাপত্তা সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র সঙ্গে বৈঠক শেষে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে, ন্যাটো এবং ওএসসিই'র (ওরগানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপরেশন ইন ইউরোপ) মাধ্যমে একটি ইউরো-আটলান্টিক নিরাপত্তা কাঠামো এখানে বজায় আছে … কিন্তু এগুলোর গঠন এমন নয় যে, যার মাধ্যমে অর্থপূর্ণ আলোচনা চালানো যায়; কিংবা স্বার্থের ভারসাম্যের ভিত্তিতে কোনো ইস্যুতে একমত হওয়া যায়।"
এর আগে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই ল্যাভরভ বলেছিলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সমমনা নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মস্কো ও বেইজিং একটি সংলাপ শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
মঙ্গলবারের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা মন্ত্রী ওয়াং সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো বা ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করেই বলেন, "চীন এবং রাশিয়া আধিপত্যবাদ এবং ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করে; এই দুইদেশ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মাত্র কয়েকটি দেশের একচেটিয়া ক্ষমতা দেখানোরও বিরোধিতা করে।"
চীনের এই শীর্ষ কূটনীতিক আরও বলেন, "দুই দেশ (রাশিয়া ও চীন) অবশ্যই ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের পাশে দাঁড়াবে।"
এছাড়া, ব্যবসা-বাণিজ্যে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার কথাও জানিয়েছেন ওয়াং। এমন এক সময়ে চীনের কাছ থেকে মস্কো এ আশ্বাস পেলো, যখন পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তির এক প্রতিবেদন অনুসারে, বৈঠকে ওয়াং ল্যাভরভকে আরও বলেন, "পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার স্থিতিশীল উন্নয়নকে সমর্থন করবে চীন।"
এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর থেকেই মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর হওয়ার ইঙ্গিত মেলে। গত বছর এক শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুইদেশের মাঝে সম্পর্ক 'নতুন যুগে প্রবেশ করেছে' বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।