কিংমেকার নিতিশ, নাইডু, শারদ পাওয়ার সবাই ছুটছেন এখন দিল্লি অভিমুখে
সরকার গঠনের জন্য প্রয়জনীয় সংখ্যক সমর্থন অর্জনে এনডিএ এবং ইনডিয়া— উভয় ব্লকের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা বর্তমানে রাজধানী দিল্লির পথে রয়েছেন।
নিতিশ কুমার এবং তার সাবেক ইনডিয়া মিত্র রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদবও একই বিমানে দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
দিল্লিতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ইনডিয়া ব্লকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, ইউনিয়ন ক্যাবিনেটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টায়।
এদিকে, এনসিপি-এসসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং বারামতির দলীয় সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও বৈঠকে যোগ দিতে আজ (৫ জুন) সকালে মুম্বাই থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনে এনসিপি-এসসিপি মহারাষ্ট্রে ৮টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে, বারামতি লোকসভায় ভগ্নিপতি সুনেত্রা পাওয়ারকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হয়েছেন সুপ্রিয়া সুলে।
এদিকে, তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান কিংমেকার চন্দ্রবাবু নাইডুও আজ দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া, সরকার গঠনের জন্য জোট সমর্থন পেতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার এবং টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে আলোচনা করবে কংগ্রেস।
ভারতের রীতি অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠতার সীমা অতিক্রমকারী দল বা গোষ্ঠীকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি।
মোদির এনডিএ জোট প্রায় ২৯২ টি আসনে এগিয়ে আছে, সরকার গঠনের জন্য দরকার ২৭২টি আসন। নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি, যাদের একসঙ্গে ২৮টি আসন রয়েছে, তারা যদি এনডিএ-তে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তাদের সমর্থন এনডিএর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং জোট সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে যাবেন মোদি।
তবে তারা যদি মত পালটে জোট বদল করেন তখন ইনডিয়া ব্লকের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩২ থেকে ২৬০-এ। আর এনডিই'র আসন কমে আসবে ২৬৪-এ। তারপর সরকার গঠনের জন্য দুটি জোটেরই বাকি আসন পূরণের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন প্রয়োজন হবে। বলা যায়, কঠিন এক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে আছে দুটি জোট।
তবে নীতিশ এবং চন্দ্রবাবু কখন কার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন তা বলা মুশকিল। নীতিশ গত এক দশকে পাঁচবার দল পরিবর্তন করেছেন, সম্প্রতি ফেব্রুয়ারিতে ইনডিয়া জোট থেকে বিজেপিতে যোগ দেন।
চন্দ্রবাবু, এখন এনডিএ-র অংশ হলেও, ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, পরবর্তীতে বর্তমান নির্বাচনের আগে আবার যোগ দেন।