ফাইভজি-র চেয়ে ৫০০ গুণ স্পিড, সেকেন্ডে ৫ সিনেমা ডাউনলোড! সিক্সজি চালু হচ্ছে জাপানে
মানুষের জীবনে বিপ্লব নিয়ে এসেছে ফাইভজি প্রযুক্তি। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম-এর মতো ওটিটি অ্যাপের জন্য এ প্রযুক্তি হয়ে এসেছে আশীর্বাদ। তবে ফাইভজি এরচেয়েও বড় ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে আমাদের জীবনে। মহামারিকালে রিমোট ওয়ার্ক করতে ব্যাপক সুবিধা এনে দিয়েছে এই প্রযুক্তি।
এর মাঝেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে চলে আসছে ফাইভজির উত্তরসূরি—সিক্সজি।
জাপানি কোম্পানি ডোকোমো, এনটিটি, এনইসি ও ফুজিতসু-র একটি কনসোর্টিয়াম নিয়ে আসছে বিশ্বের প্রথম সিক্সজি ওয়্যারলেস ডিভাইস।
আর এই অসাধারণ ডিভাইসটির ডাটা ট্রান্সমিশন গতি প্রতি সেকেন্ডে ১০০ গিগাবিট (জিবিপিএস)—যা কিনা ফাইভজি প্রযুক্তির চেয়েও ২০ গুণ বেশি।
এছাড়া সিক্সজি প্রযুক্তির গতি হবে বর্তমানের ফাইভজির গতির চেয়েও ৫০০ গুণ বেশি। সিক্সজি প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে পাঁচটি এইচডি সিনেমা ডাউনলোড করা যাবে!
বর্তমানে বেশিরভাগ নতুন স্মার্টফোনেই ফাইভজি প্রযুক্তি থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে এসব ফাইভজি প্রযুক্তির স্মার্টফোনের গত ইন্টারনেট স্পিড হয় সেকেন্ডে ২০০ মেগাবিটের (এমবিপিএস)। তাত্ত্বিকভাবে, ফাইভজি প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে এর স্পিড সর্বোচ্চ ১০ জিবিপিএস পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব। কিন্তু তারপরও এ প্রযুক্তির স্পিড সিক্সজির পরীক্ষামূলক গতির চেয়ে কম হবে।
সিক্সজি প্রযুক্তিতে এত গতি পাওয়ার কারণ হলো ফাইভজি কাজ করে কম/নিচু ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে। অন্যদিকে সিক্সজি চলবে ১০০ গিগাহার্টজ থেকে ৩০০ গিগাহার্টজের মতো উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে।
নতুন এই ব্যান্ডে তথ্য আদানপ্রদান করা যাবে অনেক দ্রুত গতিতে।
তবে নতুন এই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের জন্য নতুন অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ সিক্সজি সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসতে বেশ সময় লাগবে। তবে একবার সবার নাগালে চলে আসার পর এটি প্রযুক্তি জগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে। সিক্সজির কল্যাণে চলে আসতে পারে মিক্সড রিয়েলিটি ও এনহ্যান্সড ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।