‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের
সর্বজনীন পেনশনের 'প্রত্যয়' স্কিম নিয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এই ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব নিজামুল হক ভূঁইয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা প্রত্যাখান করেন শিক্ষকরা।
'প্রত্যয়' স্কিমের বিরুদ্ধে এদিন দ্বিতীয় দিনের মতো প্রতিবাদ করেছে শিক্ষকেরা।
নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, "সরকারি কর্মকর্তাদের আমরা বিশ্বাস করি না। ২০১৫ সালে যেভাবে তারা আমাদের রাস্তায় নামিয়েছে। সুপার গ্রেড আমাদের দেয়নি। সেসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, একটি কমিটিও হয়েছে। তবে নয় বছরেও আমরা সুপার গ্রেড পাইনি।''
তিনি আরও বলেন, '"প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে আগামী বছর 'সেবক' নামে স্কিম চালু হলে এবং সেখানে সবার জন্য সুযোগ-সুবিধা রাখা হলে আমরা সেখানে যাব। দেশের স্বার্থে সবার জন্য যা হবে, আমাদের জন্যও তা হবে। তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে।"
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করা এবং শিক্ষকদের জন্য ব্যক্তিগত বেতন স্কেল চালুর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, ''আমাদের সুপার গ্রেড দিতেই হবে। আপনারা আগামী বছর সেবক আনবেন, সেবকে কী সুযোগ সুবিধা আছে, সেটা আমরা দেখব। সর্বজনীন হলে আমরা কেন যাব না? কিন্তু আমরা আলাদাভাবে যাব না সেখানে।"
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও সেশন জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যে ঘাটতি রয়েছে তা পুষিয়ে নিতে আমরা বিশেষ ক্লাস নেবো।'
মঙ্গলবার 'প্রত্যয়' স্কিমের কিছু বিষয় স্পষ্ট করে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে গত ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম যাত্রা শুরু করেছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।