হামলার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের শুল্কায়ন বন্ধ
দেশের বৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে হামলার আশঙ্কায় শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের মৌখিক নির্দেশনায় সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মী, কাস্টমস কর্মকর্তাসহ সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর ফলে দুপুরের পর বন্ধ হয়ে গেছে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন। বন্ধ করে দেওয়া হয় কাস্টম হাউসের প্রধান ফটক।
চট্টগ্রাম কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ড এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার ও দপ্তর-বিষয়ক সচিব মো. জয়নাল আবেদীন টিবিএসকে বলেন, "মঙ্গলবার সকাল থেকেই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের শুল্কায়ন কাজ চলছিল। দুপুর দুইটার দিকে কাস্টমস কমিশনারের পক্ষ থেকে সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মীদের কাস্টম হাউস থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর একে একে সব সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং কর্মীরা বের হয়ে যান। কাস্টমস কর্মকর্তারাও বেরিয়ে যান।"
তিনি আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনের হামলার ঘটনা ঘটছিল। আগ্রাবাদে কর অফিসের সামনে ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। "হামলা এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কাস্টমস– এই নির্দেশনা দিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। যেহেতু সব সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মী চলে গেছে, তাই মঙ্গলবার আর শুল্কায়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।"
এদিকে সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস শাখার কার্যক্রমও দুপুরের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের সব কর্মকর্তা দুপুর তিনটার দিকে বের হয়ে যান।
সোনালী ব্যাংকের এই শাখার ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন চৌধুরী টিবিএসকে বলেন, সেনাসদস্যদের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়– দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করে সবাইকে বের হয়ে যেতে। এমন নির্দেশনা পেয়ে তিনটার দিকে আমরা সবাই বের হয়ে যাই।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমানের সাথে টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে কাস্টমস হাউসের একজন ডেপুটি কমিশনার নাম না প্রকাশের শর্তে টিবিএসকে বলেন, "এখানে হামলার আশঙ্কা আছে– এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর, কমিশনারের পক্ষ থেকে সকলকে বের হয়ে যাওয়ার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।"
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রতিদিন প্রায় ১৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। প্রতিদিন ২ হাজার আমদানি পণ্যের বিল অব এন্ট্রি এবং ৫ হাজার বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করে সিএন্ডএফ এজেন্টরা।