সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দুই দিনের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
৩০ ও ৩১ জানুয়ারি সারাদেশের সকল কাস্টমস হাউজ ও শুল্ক স্টেশনে একযোগে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ফেডারেশন থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেডারেশনের মহাসচিবের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের বৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজসহ দেশের সব শুল্ক স্টেশনে একযোগে দুই দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
বিদ্যমান অনুযায়ী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স পেতে হলে প্রার্থীকে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতায় ন্যূনতম ডিগ্রি পাশ থাকতে হবে। তাই একজনের লাইসেন্স আরেকজনকে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে সংগঠনটির নেতারা একে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী হিসেবে দেখছেন। কারণ এই লাইসেন্সকে তারা ট্রেডিং ব্যবসার স্বীকৃতি মনে করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন জানিয়েছেন, "জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা আমাদের এই লাইসেন্সটিকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গে তুলনা করছেন। তারা আমাদের ব্যবসায়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। অথচ এই খাতে আমাদের বিনিয়োগ রয়েছে এবং সেই সঙ্গে আমরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।"
এছাড়া, সংগঠনটি আইনের আর যেসব ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোনো আমদানিকারকের শুল্ক বকেয়া থাকলে সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স নবায়ন না করার ধারা, শুল্ক কর পাওনা থাকলে এজেন্ট লাইসেন্স বাতিলের ধারা, দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন কোনো কোম্পানিকে লাইসেন্স না দেওয়া, মিথা ঘোষণায় পণ্য আমদানিতে এজেন্টকে দায়ী করা এবং জরিমানা করা ইত্যাদি।
এর আগে ২০২২ সালের ৭ জুন, সংগঠনটি এসব দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছিল। এরপর রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের আইন সংশোধনের আশ্বাসে ওই কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। কিন্তু এরপর দাবি আদায়ে আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।