আহমদ শফীর জানাজা ঘিরে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা জোরদার
হাটহাজারী মাদ্রাসা ময়দানে শনিবার বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর জানাজা এবং হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রামের চার উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাটহাজারীতে চারজন এবং অন্য তিন উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. উমর ফারুক বলেন, 'হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্র বিক্ষোভ ও মাদ্রাসা বন্ধের রেশ ধরে অপ্রীতিকর যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চার উপজেলায় সাতজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশের সাথে ২০ প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।'
সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, বলেন উমর ফারুক।
গত বুধবার থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়। তাদের দাবির মুখে বুধবার রাতে মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে ও মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পর দিনও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপণে মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আন্দোলনরত ছাত্রদের বিক্ষোভ বন্ধ না হলে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মহাপরিচালক আহমদ শফী নিজেই তার পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন।
এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।