'এশিয়ান ন্যাটো' একটি ভবিষ্যতের জন্য আইডিয়া: জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু সম্প্রতি 'এশিয়ান ন্যাটো' গঠনের বিষয়ে তার অভিমত প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে গত বুধবার দেশটির নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়াও এতে একমত পোষণ করেছেন।
টোকিওতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইওয়াইয়া এমনটা বলেছেন। তবে এই বিষয়টিকে শিগগির বাস্তবায়নযোগ্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা হিসেবে অভিহিত করেছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "আমার ধারণা, সমমনা দেশগুলোর বহুস্তরবিশিষ্ট নেটওয়ার্ক তৈরি ও বাইরের শক্তির কাছ থেকে আসা সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করার আঞ্চলিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়ার এই চিন্তাটি ভবিষ্যতের জন্য।"
সংবাদ সম্মেলনে ইওয়াইয়াকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চীনকে মাথায় রেখে এ ধরনের অবকাঠামো তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে কি-না। জবাবে তিনি বলেন, "কোনো সুনির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে এটি গঠন করা হবে না।"
যদিও সেপ্টেম্বরে হাডসন ইনস্টিটিউট থিংক ট্যাংকের এক গবেষণাপত্রে ইশিবা যুক্তি দেন, ওয়াশিংটনকে পাশে রেখে একটি 'এশীয় ন্যাটো' গঠন করা হলে এশিয়ায় সামরিক শক্তিমত্তা প্রদর্শনে বিরত হবে চীন।
ইওয়াইয়া বলেন, "সবচেয়ে ভালো উপায় হবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক সৃষ্টি করা, যা কোনো সুনির্দিষ্ট দেশকে বাদ না রেখেই সম্পূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কার্যকর থাকবে।"
আর জাপানের নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইশিবা এখনো তার মন্ত্রণালয়কে এশিয়ায় ন্যাটোর সমতুল্য কোনো সংগঠন সৃষ্টির প্রস্তাব তৈরি করতে বলেননি।
জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু প্রতিরক্ষানীতি–সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একসময় তিনি কেবল জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বই পালন করেননি, দীর্ঘ সময় ধরে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য থাকা অবস্থায় দেশের প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ বাড়াতে সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর জাপানের প্রতিরক্ষা খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ যে নেবেন, অনেকেই সেটা স্বাভাবিক হিসেবে দেখেছিলেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান