ছয় হাজারে বাংলাদেশের প্রথম মুশফিক
সেই ২০০৫ সালে সাদা পোশাকে অভিষেক, বাংলাদেশ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরুও সেটাই। শুরুর দিকে সেভাবে নিজেকে প্রমাণ না করতে পারলেও ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন দলের ব্যাটিং ভরসা। কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়ে দলে জায়গা পোক্ত করাসহ হয়ে যান বড় নাম। সেই থেকে বাংলাদেশের অনেক বিপদে কাণ্ডারী হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হয়েও নিজেকে নিয়ে যান দেশসেরা ব্যাটসম্যানের পর্যায়ে। একাগ্রতা ধরে রেখে কেবল ক্রিকেটে মনোযোগ রাখার ফল মুশফিক আগেও পেয়েছেন, টেস্টের ১৯ বছরের পথচলায় আজ তিনি পৌঁছালেন দারুণ এক মাইলফলকে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দীর্ঘতম ফরম্যাটে ৬ হাজার রান পূর্ণ করেছেন তিনি।
দীর্ঘ এই সময়ে দেশের হয়ে ৯৩টি (চলমান টেস্টসহ) টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। ১৭২ ইনিংসে ১১টি সেঞ্চুরি ও ২৭টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৮.৪৮ গড়ে তার রান ৬ হাজার ৩। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাল রান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুই নম্বরের তামিম ইকবাল, তবে মুশফিকের চেয়ে অনেক পিছিয়ে তিনি। বাঁহাতি এই ওপেনার অবশ্য কম ম্যাচ খেলেছেন। ৭০ টেস্টের ১৩৪ ইনিংসে ব্যাটিং করা তামিম ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৮.৮৯ গড়ে ৫ হাজার ১৩৪ রান করেছেন।
চলমান টেস্টটি শেষ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল তিন নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসানের। কিন্তু নিজের নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশে ফেরা হয়নি অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের। ৭১ টেস্টে ১৩০ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৫টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৭.৭৭ গড়ে ৪ হাজার ৬০৯ রান করেছেন সাকিব। ৪ হাজার ২৬৯ রান নিয়ে চার নম্বরে মুমিনুল হক, ৩ হাজার ২৬ রানের মালিক হাবিবুল বাশার পাঁচ নম্বরে।